প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা উদ্বিগ্ন গোটা ইরান। জরুরি বৈঠক করেছে দেশটির মন্ত্রীসভা। তবে এ ঘটনায় প্রশাসনে যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

তিনি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে ‘বিঘ্ন না ঘটানোর’ আহ্বান জানান খামেনি।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে ‘সব ঠিক আছে’ এমন সুসংবাদের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান এবং জোলফা নামক জায়গার একটি ঘন বন জঙ্গল ও পাহাড়ি অঞ্চলে।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে আসছিলেন। সেখানেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।