সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড তদন্তে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলকাতা গেছেন তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।

রোববার (২৬ মে) সকালে কলকাতায় যান তারা। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ওয়ারী বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।

কলকাতায় গিয়েই সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন ডিবিপ্রধান হারুন। তিনি বলেন, আমরা কলকাতায় এসেছি, এখানকার পুলিশের সহায়তা চাইবো। আমাদের দেশের আসামিরা যেসব তথ্য দিয়েছে, সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করবো। হত্যাকারীদের অ্যাকচুয়াল মোটিভটা কী তা আমরা খুঁজে বের করবো।

তিনি বলেন, কলকাতা পুলিশ তিনদিন ধরে আমাদের আসামিদের সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলেছে। আমরাও কলকাতার সিআইডির কাছে অনুমতি চাইবো। আমরাও অপরাধীদের সঙ্গে কথা বললে হয়তো আসামিরা যেসব তথ্য দিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে যেসব স্থানের কথা বলেছে – তাদের সহযোগিতায় সেগুলো পরিদর্শন করবো। আমার জানামতে লাশ এখনো উদ্ধার হয়নি।

লাশ খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে আসা প্রকাশ করেন গোয়েন্দা প্রধান। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিআইডি অনেক কাজ করছে, অনেকদূর এগিয়েছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুত তথ্য পেয়ে যাবেন।

হারুন আরও বলেন, শাহীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে আবেদন করা হবে। সহায়তা চাওয়া হবে ইন্টারপোলের। শাহীন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে নিশ্চিত করেছে কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা। আমাদের তদন্তদল কলকাতায় প্রথমে ঘটনাস্থলে যাবে। এরপর ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

শাহীনকে পেতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত, নেপাল, ইন্টারপোল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে বলে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি জানান, আখতারুজ্জামান শাহীন মূল সন্দেহভাজন এবং পলাতক। তাকে বিচারের আওতায় আনতে ভারত, নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য চাওয়া হয়েছে।