মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের পাখি ও মাছের মিলন মেলাস্থল বাইক্কাবিলকে বাচাঁতে এলাকাবাসীসহ জেলার সবাই এক সাথে কাজ করছে৷ বাধঁ নিমর্ান বন্ধ করে বিয়াই বিলের ইজারা প্রথা বাতিলের দাবী গন মানুষের৷
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাজীপুর বরম্ননার পার্শবতর্ী স্থানে বাইক্কা বিলের অবস্থান৷ বাইক্কা বিলের পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকাখানা ও সরকারী কিছু বিল রয়েছে সেখোনে বাইক্কা বিলের পাখির বড় একটি অংশ কিছুটা সময় কাটায়৷ বাইক্কা্য় প্রবেশের মর্হুতে পাখিপ্রেমীদের জানিয়ে দেয় সামনে অনেক বিশ্বের অজানা পাখিদের অবস্থান রয়েছে৷ সেখানে রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার৷ সেখানে যখন কোন লোক বা পর্যটক থাকেন না তখন বড় বড় পাখি গুলো তাতে বসে৷ এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিরলপ্রজাতির কোড়া ঈগলসহ নানা ধরনের পাখি৷ বিলজুড়ে পদ্মপাতায় শিশিরের খেলা দেখতে খুবই ভালো লাগে৷ তার মাঝে রয়েছে বেগুনি কলম গাছের ঝাঁক৷ বাইক্কা বিলে পাখি দেখায় মজাই আলাদা৷ ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায় হাজার প্রজাতির দেশি ও বিদেশী পাখির৷ সেখানে রয়েছে একটি দূরবীন৷ সেখানে পাখি চেনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেন এলাকার মিরাশ মিয়া৷ তিনি পর্যটকদের দূরবীন দিয়ে দেখিয়ে দেন কোথায় কোন পাখি বসা রয়েছে বিশাল বাইক্কা বিল এলাকায়৷
টাওয়ার থেকে পাখি দেখা যায় তবে মন ভরে দেখতে যেতে যেতে হয় নৌকা নিয়ে৷ নৌকার মাঝী মোসাবি্বর মিয়ার নৌকা নিয়ে যেতে হয় বিলে৷ তখন মনে অন্যরকম আনন্দ জাগে বুঝা যায় যে এটাই পাখির রাজ্য৷ সে রাজ্যের পানকৌড়ি, সরালি, অধিপতি কালেম, বালিহাঁস, বক, জলমুরগি, দলপিপি, জলপিপি সবাই৷ শীতের কুয়াশামোড়া সকালে ঘুম থেকে ওঠার সব কষ্ট, ক্লানত্মি ভুলে গিয়ে সেখানে শানত্মি পাওয়া যায়৷ পদ্ম, শালুক, নলখাগড়াবন ঠেলে জলকেটে যেতে হয় নৌকায়৷ আনহারের হাতের ইশারায় নৌকার থামিয়ে দিলেন মাঝি৷ গৌছুলের চোখ কোথায় বড় পাখি শুধু ছবি ছাই৷ হঠাত্ সামনে পড়লো একটি বিরল প্রজাতির একটি বিশাল জলমুরগি৷
এসেছে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে৷ কয়েকশত হাঁস তার পিছু ছাড়ছে না৷ বেশি কয়েকটি লেঞ্জা হাঁস, পাতি তিলি হাঁস, রাজ সরালিও৷ নৌকা নিয়ে সারা বিলের চুুর দিক ঘুরে অনেক কিছু জানা গেলো৷ এ সময় মাথার উপর দিয়ে উড়তে থাকে হাজার পাখি৷ দেখা গেল বেশ বেগুনি কালেম৷ বাইক্কা বিলটা যেন পাখিদের মিলন মেলার স্থল৷ হঠাত্ পানির নীচে চলে গেলো একটি পানকৌড়ি, ভেসে উঠলো আরেকটি৷ পদ্মপাতার বুক চিরে নৌকাটি নিয়ে বেড়াতে খুবই আন্দ লাগে৷ পানিতে হাত ভেজাতে সবুজ জলে আরো ভালো লাগে৷ মলা, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ খেলা করছে পানিতে৷
পাখির কলকাকালিতে মুখর করে তুলে সবাইকে৷ কখনো নৌকা থামিয়ে, কখনো চলনত্ম অবস্থায় একের পর এক ছবি তুলতে থাকলো এস এম উমেদ আলী৷ অনেকটা সাহস নিয়ে সাদা বড় বকগুলো নৌকার পাশেই বসে থাকে৷ তারা ছবি তোলার জন্য সবাইকে সুযোগ দিচ্ছে বুঝা গেল৷ বিভিন্ন আঙ্গিকে পাখি গুলো ছবি তুলার ব্যবস্থা করে দিলো ক্যামেরাম্যানদের৷ এমনকী ঝগড়া করতেও দেখা গেলো সাদা বকদের৷ অপেক্ষা করে দেখতে পাবেন অনেক ঝগড়া৷ মনে হয় তাদের ধরে আদর করার৷ কঢ়ুরিপানার উপর বসে রয়েছে সাইবেরিয়া থেকে আসা মেটে মাথা টিটি৷ প্রতিটা মুহূর্ত জন্ম দেয় নতুন আবেগ ও আনন্দ৷ বিকেলে পাখিরা আসতে শুরম্ন করে তাদের বাসস্থানে৷ সাইবেরিয়া, রাশিয়া, তিব্বত,শ্রীলঙ্কা থেকে আসা অতিথি পাখিরাও ফেরে তাদের অস্থায়ী বাসায়৷ মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলো কয়েকটি দল তাদের গনত্মবে৷ হঠাত্ উদয় হলো এক মেছো বাঘ৷ কিন্তু মানুষের গন্ধ পেয়ে আবার উদাও হয়ে গেল মহুর্তেও মধ্যে৷ বাইক্কা বিলের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে হিজল-তমালগাছ৷ শালিক, সুইচোরা, পেঁচাদের নীড় এই গাছ গুলো৷ কিচির-মিচির শব্দে কয়েক হাজার পাখি সেখানে৷ সে গান শুধু চোখ বন্ধ করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে অনুভব করা যায়৷ এই বাইক্কা বিলে প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা৷ ওয়াচ টাওয়ারে জনপ্রতি দিতে হয় ২০ টাকা সরকার নিধর্ারিত৷ আর নৌকা চড়ার জন্য দিতে হয় ঘন্টাপ্রতি ৬০ টাকা৷ মনে রাখতে হবে সতর্কতাঃ সতর্কতার সাথে পাখিদের দেখবেন তাদের অসুবিধা বা শব্দ করা যাবে না৷
বাইক্কা বিল মাছের অভয়ারণ্য বলেই পাখিরা নিরাপদে নিরিবিলি থাকে৷ ঢিল ছুড়বেন না সেখানে, কিছু খেয়ে ফেলবেন না পানিতে৷ যাতে পাখিদের সমস্যা না হয়৷ কিভাবে আসবেন এই সুন্দর স্থানে: ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলে বাসে আসতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা, আসতে পারেন ট্রেনেও৷ তবে সময় একঘন্টা বেশি লাগতে পারে৷ শ্রীমঙ্গল শহর থেকে বাইক্কা বিলের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার৷ শেষ আট কিলোমিটার রাস্থা মাটির তৈরী৷ শহর থেকে সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করলে ভাড়া নেবে ৫০০-১০০০ টাকা৷ শুধু যাওয়া ৪০০ টাকা৷ তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই খাবার নিতে হবে৷ কারণ সেখানে খাবার পাওয়া যায় না৷ থাকার জন্য রয়েছে পাচঁ তারকা হোটেলসহ বেশিকিছু কটেজ শ্রীমঙ্গল শহরে৷ ভাড়া হোটেল ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০০ টাকা৷ তবে শহরের হোটেলগুলোতে হাওরের টাটকা দেশি মাছ পাওয়া যায়৷ বাইক্কা বিল নিয়ে বেশ কয়েকটি গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় টনক নড়লো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের৷
গত রবিবার বাইক্কা বিলে বাঁধ তৈরী নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও মত্স্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান পড়েন বিপাকে৷ তিনি বলেন, আমরাও বাইক্কা বিলে পানি রাখার জন্য বাঁধ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা৷ গত বুধবার স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানসহ উপজেলা মত্স কর্মকতর্া ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে শুধু বিয়াই বিলের বাঁধ তৈরি বন্ধ করাই নয় বাইক্কা বিলে পানির স্বাভাবিক ধারা অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷ এদিকে বাইক্কা বিলের সংশিস্নষ্টদের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, এই বিলের পানির উত্সমুখ অর্থাত্ বিয়াই বিলে শুধু বাঁধ নয় ইতোমধ্যে পানি সেচের জন্য পামপও বসানো হয়েছে৷ স্থানীয় জেলেরা জানান, গত বুধবার বাদ আছর সেচের মেশিন চালু হয়৷ সঙ্গে চলে শিনি্ন দেওয়াসহ নানা উত্সব৷ স্থানীয় মত্স্য বিভাগ ও প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানান মাহবুবুর রহমান৷ অগণিত দেশের মানুষের জন্য এই চোখজুড়ানো প্রাণোচ্ছ্বল সৌন্দর্য উপভোগ্য করার স্থান তোলে ধরতে সবাই যাই বিলে৷ কিন্তু শুরম্নতেই ওখানকার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে তারা জানালেন এক অশনি সংকেতের কথা৷
বাইক্কা বিলের পানির অন্যতম উত্সমুখে নাকি দু-একদিনের মধ্যেই বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা হবে৷ সেই উপলক্ষে চলবে উত্সবও! মুহূর্তে পাখির পেছনে ছোটা বন্ধ করে নৌকা নিয়ে চলে গেলাম বাঁধমুখে৷ যাদের জন্য আজ এখানে আসা, যে মাছ-পাখির বৈচিতর্্য দেখতে দেশ-বিদেশের হাজারও মানুষ অসেন এই বিলে, তাদের বাঁচানো বড় দায়িত্ব নিঃসন্দেহে৷ জলপদ্ম, কচুরিপানা আর উলুখাগড়া বন ঠেলে মাঝি মোসাবি্বর মিয়া ছপ ছপ করে লগি ঠেলে নিয়ে যেতে লাগলেন ঘটনাস্থলে৷ একটু পরপরই তার মনত্মব্য, ভাই এই বিলটি তাদের সংসার চালানোর এক মাত্র অবল্মন৷ মাঝির দ্রম্নত গতিতে পৌঁছে দিলো বিয়াই বিলের (কাগাউড়া) ক্যানেলে৷ এই ক্যানেল দিয়েই প্রবাহিত হয় বাইক্কা বিলের পানি৷ বাইক্কার পরই এই জলমহাল৷ হঠাত্ই মাঝি বললেন, আফনারা ছুপ থাকই৷ কেউ মাতলে কইবা পাখির ছবি তোলতে আইছি৷ দেখুইন সামনেদি মাটি লইয়া নৌকা যার৷ মাটি পালাইব তখন আপনার ছবি তুলিলাইবা৷ মাঝি ও বাইক্কা বিলের কর্মচারীদের কথার প্রমাণ পেতে দেরি হলো না৷ দুজন মাঝি নৌকা নিয়ে মাটি পালঅতে শুরম্ন করলো৷ তাদের কাছ থেকে জেনে নিলাম মাটি ফেলার কারণ৷ পাশে মাছ ধরতে থাকা অপর দুই মাঝির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তারা চিনতেন মাঝি মোসাবি্বরকে৷ মাটি এনে যারা ফেলছিলেন তাদের একজনের নাম হারম্নন মিয়া৷ কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, এটা শুকিয়ে এক বিল থেকে আরেক বিলে যাওয়ার পথ তৈরি করা হবে৷ যদিও তাদের মাটি ফেলার ধরন দেখে তা মনে হয়নি৷ এরপর হারম্নন জানায়, বিলের সেচ কার্যক্রম উপলক্ষে শিরনি দেওয়া হবে৷ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে গরু কেনাও শেষ৷
মোট খরচ হবে দুই লাখ টাকা! বিয়াই বিলের মানুষের চোখে মুখে যখন উত্সবানন্দ, বাইক্কা বিলের দুঃখের শুরম্ন৷ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছ-পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিলের কোল ঘেঁষে বিয়াই বিল৷ বাইক্কা বিলের আয়তন ১০০ একর৷ আর ১০ একরের কিছু বেশি জায়গা নিয়ে বিয়াই বিল জলমহাল৷ এ জলাশয়টি সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়৷ তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া এ জলমহালটি এরই মধ্যে পার হয়েছে দুই বছর৷ ইজারা নেন পরবেশ আলী নামের এক ব্যক্তি বাইক্কা বিল থেকে প্রতিনিয়ত চুরি করে বড় বড় মাছ নিয়ে শহরে বিক্রির গডফাদার৷ তিনি আবার ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে সাব-ইজারা দেন জনৈক এরশাদ মিয়া, মিসির মিয়া, আকিস মিয়া, আলফু মিয়াসহ আরও একজনের কাছে৷ সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর এরা উচ্চক্ষমতাসমপন্ন পামপ বসিয়ে বিয়াই বিলের পানি শুকিয়ে ফেলে মাছ ধরেন৷ অথচ, নীতিমালা অনুযায়ী জল শুকানো দূরের কথা, মাছের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা (যেমন,নেট জাল পাতা) তৈরি করাও নিষেধ৷
এই বিল সেচ করে পানি শুকালে বাইক্কা বিলের মত্স্য অভয়াশ্রম এবং এই অভয়াশ্রমে স্থায়ী-অস্থায়ী আবাস গড়া দেশ-বিদেশি প্রায় ১৬৬ প্রজাতির পাখি (পাখি বিশেষজ্ঞদের শুমারি অনুযায়ী)৷ এর প্রভাব যে কত ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে তারই প্রমাণ ২০১৩ সালের ৯ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যনত্ম প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলা বাইক্কা বিলের মাছ লুটপাট৷ সেই লুটপাটে ক্ষতি হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা৷ পানি কমে যাওয়ায় ওই লুটপাটের ঘটনা ঘটে৷ হাজার হাজার মানুষ এসে নামে এই বিলে৷ মত্স্য বিভাগ, বড়গাঙ্গিনা সমপদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন (আরএমও) স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দিয়েও আটকানো যায়নি সে লুটপাট৷ সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত এ মত্স্য অভয়াশ্রমে সেবার চলে কয়েক কোটি টাকার মাছ লুট৷ এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মা মাছগুলোর (ডিমওয়ালা)৷ কারণ কম পানিতে এরা বাঁচতে পারে না৷ বাঁধে মাটি ফেলার সময় আমাদের নৌকার পাশের যে নৌকা দুটির মাঝি কথা বলতে চাননি, তারা মাটির নৌকাটি চলে যাওয়ার পর এগিয়ে এলেন কথা বলার জন্য৷ মাঝি ওয়াসিম বলেন, যে গরিব মানুষ এই বাঁধের বিরুদ্ধে মাতবো তার অবস্থা খারাপ হয়ে পড়বো৷
এই বিলটায় বাঁধ দেওয়ার কারণে শুধু পাঁচ-সাতজন (!) মানুষ লাভবান হলেও শত শত গরিবের পেটে লারি মারা হবে৷ পাশ থেকে আরেক মাঝি জাহাঙ্গীর জানান, বাঁধ দিলাইলে আমরার না খাইয়া থাকতে হইবো৷ শুধু বাইক্কা বিল নয়, আশাপাশের আরও বিল শুকাই যায়৷ আর এসব বিলে তারা মাছ মারিয়া জীবিকা নির্বাহ করে৷ বাইক্কা বিলের পাখি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের দায়িত্বে থাকা মিরাশ মিয়া বলেন, পানি শুকিয়ে গেলে মাছের তো ক্ষতি হয়ই, সঙ্গে পাখির অনেক সমস্যা হয়৷ তারা খাবার পায় না, পানিতে বসতে পারে না৷এ বিষয়ে উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, আজ থেকে ১০ দিন আগে এ বিলের লিজগ্রহিতা পরেশ আলীকে ডেকে বলে দিয়েছি এ বিলে ভাসমান মাছ মারা যাবে৷ কোনো রকম বাঁধ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না৷ এরপরও যদি বাঁধ দেওয়া হয় তাহলে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন৷ তাদের বলাটাই শেষ হয়ে যায় পড়ে বড় বড় মাছ পেয়ে সব অপর্কম চালিয়ে যায় এই পরেশ আলী চক্র৷ লোট করে মাছ নষ্ট করে বাইক্কা বিলের পরিবেশ বলে এলাকার অনেকেই জানান৷
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফাকুল হক চৌধুরী জানান, বাইক্কা বিলের পানি যাতে বিয়াই বিলে না যায় তার জন্য তারা বাইক্কা বিলে বাঁধ দিয়ে এর পানি আটকে রাখার চেষ্টা করছেন৷ বাঁধের কাজ শুরম্ন হয়েছে শুনে তিনি বলেন, রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে লোক পাঠাবেন৷ কত বিচিত্র সুন্দর চেহারা, গড়নের, রংয়ের-ঢংয়ের সব পাখি৷ তাদের চলার গতি, ওড়াউড়ি, কলকাকলি কী মুগ্ধতা ছড়ায়! মায়ের কোলের নিরাপদ শিশুর মতো মনে হয় তাদের এই বাইক্কা বিলে৷ মনোমুগ্ধকর সব ছবি, দেখলে আপনাকেও ছুটে আসতে হবে এই অসাধু ফাঁদ থেকে বাইক্কা বিলকে বাঁচাতে, উপভোগ করতে সেসব নয়নাভিরাম দৃশ্য৷ বাধঁ নিমর্ান বন্ধ করে বিয়াই বিলের ইজারা প্রথা বাতিলের দাবী গন মানুষের৷