_DSC0014

ঢাকা,১ফেব্রুয়ারি, জনগণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় সরকার প্রতিহিংসায় মতে উঠেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী৷ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এবং এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে হবে বলে৷

শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি৷
২৯ জানুয়ারির কালো পতাকা মিছিলে বাধা, দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার দেশব্যাপী ১৯ দলের বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷

এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন,৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় সরকার জনগণের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে৷ অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা ও ক্রস ফায়ারে মেতে উঠেছে৷তিনি বলেন, সরকার বিএনপি পূর্ব ঘোষিত ২৯ জানুয়ারি কালো পতাকা কর্মসূচি করতে দেয়নি৷ এর প্রতিবাদে আমরা সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিলাম সরকার তাতেও বাধা দিয়েছে৷

রিজভী বলেন, সরকার বিরোধী দল নির্মূল অভিযান অব্যাহত রেখেছে৷ তারা যদি এভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে তবে আমরাও বসে থাকব না৷ তিনি আরও বলেন, আমরা রোববারের বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য ডিএমপির কাছে অনুমতি চেয়েছি৷ আশা করছি তারা অনুমতি দিবে৷

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে৷ দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্ভাবনাময় নেতাদের বেছে বেছে ‘ক্রসফায়ারের’ নামে হত্যা করা হচ্ছে৷’ক্রসফায়ার’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সরকার মনে করছে, উটপাখির মতো তারা বালুর নিচে মাথা লুকিয়ে রেখে যা করছে তা কেউ দেখছে না৷ কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সব অপকর্ম ও অত্যাচার সবাই দেখতে পাচ্ছে৷

রিজভী বলেন, পৃথিবীতে কোনো শাসক অত্যাচার-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি৷ এ সরকারও পারবে না৷ প্রতিটি ঘটনার বিচার হবে এবং সব হত্যার জন্য জবাবদিহি করতে হবে৷ জনগণ এখন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে৷

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার ১৯ দলের প্রতিবাদ সমাবেশ হবে জানিয়ে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার অতীতের মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে আজকের (শনিবার) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও হামলা করেছে৷ আশা করি, তারা রোববারের সমাবেশের অনুমতি দেবে৷

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ৷