image_107402আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের হত্যা, গণধর্ষণ ও ঘর-বাড়ি লুটের জবাব উপজেলা নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে আদায় করে নেবে, বুঝিয়ে দেবে বাংলার মাটিতে একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের কোন ঠাঁই নেই।

আজ শনিবার বিকালে রাজধানীর কুড়ার ঘাট হাসপাতাল মাঠে কামরাঙ্গীর চর থানা ও ৫৫, ৫৬, ৫৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি আজ পরাজয় ও নতি স্বীকার করেছে। তারা বলেছিলো শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন করবে না। অথচ উপজেলা নির্বাচনে এখন তারা অংশ নিচ্ছে। তাহলে আগে কেন এভাবে মানুষ পুড়িয়ে তারা মারলো? উপজেলা নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশবাসী এর সমুচিত জবাব দেবে। তাদের আরেকবার প্রত্যাখান করে বাংলার মানুষ মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, যারা এই দেশে সাংবিধানিক ধারা বাদ দিয়ে অসাংবিধানিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো। তারা বার বার বলেছে শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়। শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন আসুন বসি আলোচনা করে সমাধান করি। তাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়াও হয়েছিলো। অথচ তারা কোন কথা না শুনে হরতাল দিলেন, নির্বাচনে আসলেন না। আমরাও ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছি অস্বীকার করি না। কিন্তু আমাদের হরতালে রেলের ফিসপ্লেট তুলিনি, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়নি। জামায়াতের নারীদের ধর্ষণ করিনি।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়ে তারা পরাজিত। এই পরাজিত সৈনিকরা আবার ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। খালেদা জিয়ার পায়ের তলায় এখন মাটি নেই, তিনি এখন ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে মায়া বলেন, আপনি বলেছিলেন একটি দেশ ছাড়া সব আপনার বন্ধু। কিন্তু এখন প্রমাণ হয়েছে একটি দেশ ছাড়া আপনার আর দেশে-বিদেশে কোন বন্ধু নেই, আছে শুধু একটি প্রভু সেটা হচ্ছে পাকিস্তান। উনি প্রভুর কথায় চলেন। আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত উনি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করেছেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, জঙ্গী নেতা খালেদা জিয়া। উনি দেশের জন্য অভিশাপ। এ সময় তিনি দলে যারা খারাপ কাজ করবে তাদের জায়গা হবে না বলেও জানান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, কামরাঙ্গীর চরে আর কোন সমস্যা থাকবে না। তিনি বলেন, বিএনপি যত আস্ফাালন করুক নির্বাচিত সরকারকে তারা কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। শেখ হাসিনা আমাদেরকে শান্তি দিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনা সরকারকে অবৈধ বলা চেষ্টা করছে তাদের সাংগঠনিক শক্তি নেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার।

তিনি বলেন, সরকার ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে, জনগণের সেবা করে যাবে। এ সময় কেউ অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

কামরাঙ্গীর চর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।