hamala_agun_ctg_31450_43537
গৌরনদীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা

ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর (বীর বিক্রম) ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীর গাড়ি বহরে অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। হামলায় বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা-কর্মী আহত হয়।

দলীয় নেতা কর্মী, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন মিয়ার পক্ষে আজ সকালে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় গনসংযোগ করেন বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ারভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। গনসংযোগ শেষে সকাল সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাসহ তার ব্যবহৃত মাইক্রোবাস নিয়ে বরিশালের উদেশ্যে রওনা হন।

গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল হোসেন মিয়া অভিযোগ করেন নেতারা বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গৌরনদী বাসষ্ঠ্যান্ডের দক্ষিণ পাশে লোকাল বাস কাউন্টারের সম্মুখে পৌঁছলে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের ৫ থেকে ৭ জন নেতা কর্মী লাঠি সোটা নিয়ে তাদের গাড়ি বহরের পিছন দিক থেকে  অর্তকিত হামলা চালায়।

এ সময় বহরের পিছনে থাকা বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যন প্রার্থীর (আবুল হোসেন মিয়া) ব্যাবহৃত মাইক্রোবাসে  (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-৪৭৩৯) ভাংচুর করা হয় । হামলায়  মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কালাম খান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শামীম হাওলাদার, যুবদল নেতা জব্বার খান, সাহাবুদ্দিন বেপারী ও আরিফ হোসেন আহত হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মাহাবুব আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী জড়িত নাই।

বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারষ্টিার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক।

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ি বহরে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। নেতারা চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যন প্রার্থী আবুল হোসেন মিয়া ও তার সমর্থকদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতান্ডা ঘটনা ঘটে।