image_69192_0
বিএনপি সংসদ নির্বাচনে গেলে কী পরিণতি হতো-রিজভী

প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে নানা অভিযোগ এনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেরই ধারাবাহিকতা, আজ তা প্রমাণিত হলো। একই সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে কী পরিণতি হতো, তাও প্রমাণিত। এ ছাড়া নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন যে কতটা যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য, তা আবারও প্রমাণিত হলো।”

বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন শেষে তৃতীয় দফা সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “দেশের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া হয়নি। কেন্দ্র দখল দখল করে প্রশাসনের সামনে সরকার দলীয়রা জাল ভোট দিয়েছে।”

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবের অভিযোগ, শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ২৬টি, নবাবগঞ্জে ১৮টির অধিক, মানিকগঞ্জের তিন উপজেলায় ৫৩টি, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ৪৯টির মধ্যে ৩৬টি, সিরাজগঞ্জে ১৪টি, গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জে ১৮টি, বরিশালের গৌরনদী, কিশোরগঞ্জ, খুলনার দিঘলিয়া, মেহেরপুর, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, ঝিনাইদাহ, গাজীপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ি, ভোলার লালমোহন, শরিয়তপুরসহ আরো বেশ কিছু উপজেলায় ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে সরকার সমর্থকরা। একই সঙ্গে এসব স্থানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।