2কয়েকদিন টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি   ভিজিয়ে দিয়ে গেছে রাজধানীকে। মৌসুমের প্রথম  এ ঝড়ের সঙ্গে নেমে আসে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত দু’দফায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এ সময়  ঢাকায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে।তবে এ ঝড়-বৃষ্টিতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মার্চের শেষ দিক থেকে এপ্রিল ও মে মাসে সাধারণত বিদ্যুৎ ও দমকা হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। বসন্তের শেষে ও গ্রীষ্মের শুরুতে প্রতিবছর যেভাবে ঝড় হয়, এবারও ঠিক একই কারণে এই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছে।  আজ  শুক্রবারও  ঢাকা,যশোর, কুষ্টিয়া, হাতিয়া, সন্দ্বীপ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। অকালের এ বৃষ্টির শুরু হয় অনেকটা কালবৈশাখীর মতো ঝাপটায়। প্রথমে ধুলোঝড়। ধুলোঝড়ে অন্ধকারে ঢেকে যায় রাজধানী। আকস্মিক এ ঝড়ের বেগ ছিল প্রচণ্ড। বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ যোগাযোগ। অন্ধকার পরিবেশে দৌড়াদৌড়ি এবং হাল্কা যানবাহন উল্টে আহতও   হয় অনেকে। এরপর যোগ হয় শিলাবৃষ্টি। বেশ কিছু সময় ধরে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় নগরীর অনেক নিচু স্থানে জমে গেছে বৃষ্টির পানি। এদিকে বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বন্ধ হয়ে যায় ।তবে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি জনজীবনে অনেকটা স্বস্তি এনে দেয়।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকার পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, পাবনা, বগুড়া, নোয়াখালীতেও গতকাল রাতে  কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি  হয়েছে। এতে  ধান, আম, তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।