1দৈনিক বার্তা: তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ২২ এপ্রিল থেকে তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চে বাধা দিলে সমূচিত জবারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তিস্তা অভিমুখে আমাদের যাত্রা মঙ্গলবার। এ যাত্রায়  কোনো বাধা আসবে না। এ যাত্রা শান্তিপূর্ণ, এখানে আওয়ামী লীগও অংশ নেবে। বাধা দিতে এলে সমূচিত জবাব   দেওয়া হবে।

সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশান এলাকায় লংমার্চ সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণকালে এ কথা বলেন।

ন্যায্য পানির হিস্যার দাবিতে তিস্তা অভিমুখে বিএনপি  যে লংমার্চ কর্মসূচি দিয়েছে তাতে সরকারের বাধা  দেওয়ার  কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, লংমার্চ কর্মসূচিতে বাধা দিলে জনগণই তার জবাব দেবে। জনগণের স্বার্থেই বিএনপি এই কর্মসূচি দিয়েছে। নজরুল ইসলাম খান বলেন,  দেশ এবং জাতীয় স্বার্থে আমাদের লংমার্চ কর্মসূচি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের বাধা দেওয়ার কারণ  দেখছি না।

লংমার্চ একটি জাতীয় ইস্যু। যারা এই কর্মসূচিতে বাধা দেবে তারা জাতীয় শত্র“।এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির এই নেতা।  তিনি বলেন, অবৈধ সরকার ভারতের আয়নায় বিশ্বকে  দেখতে গিয়ে  দেশের জাতীয় স্বার্থকে ভারতের পদতলে  ঠেলে দিয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশ ধ্বংস করে ভারত একেক করে অভিন্ন নদীগুলোতে বাঁধ নির্মাণ করছে। অথচ তারাই (ভারত) পরিবেশের কথা বলে, বন্ধুত্বের কথা বলে। তিস্তা নদীর পানি সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণের দিকে  ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা অববাহিকার ৩/৪  কোটি  লোককে জীবন মরণের স্বন্ধিক্ষণে  ঠেলে দেয়া হচ্ছে। অথচ তাদের প্রতি সরকারের  প্রেমের কমতি  দেখছি না। তিনি বলেন,  ভেঙেছে কলসির কানা, তাই বলে কি  প্রেম  দেবো না! এই  বৈঞ্চব  প্রেমকেও হার মানিয়েছে এই সরকার।

তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার নিজ  দেশের পানি হুমকির মুখে  ঠেলে দিয়ে ভারতের স্বার্থ  দেখতে একেবারে অন্তঃপ্রাণ হয়ে পড়েছে।লংমার্চ সফলের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে রিজভী আহমেদ বলেন, ঢাকা  থেকে শুরু হওয়া লংমার্চ  যে সব  জেলার ওপর দিয়ে যাবে  সেসব এলাকার  নেতাদের সর্বোচ্চ নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তারাও  জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নজরুল বলেন,নতজানু হতে দেশ স্বাধীন করিনি।দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতেই আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।তিনি বলেন, তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই এই কর্মসূচি  ঘোষণা করেছে বিএনপি।

নজরুল বলেন, তিস্তা নদীর পানি নিয়ে শাসক  গোষ্ঠীর চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ তারা ক্ষমতায় টিকে আছে জনগণের সমর্থনে নয়। তারা যাদের সমর্থনে ক্ষমতায় আছে তাদের শক্তির উৎসকে খুশি করতে চায়। তাই ভারতের নির্বাচনের জন্য বসে থাকার সুযোগ  নেই।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি মনে করে বাংলাদেশের ক্ষতির  চেয়ে ভারতের স্বার্থকে প্রাধান্য  দেয় শাসক  গোষ্ঠী। তাই তিস্তা নদীতে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসন মোকাবেলা করতে হবে। ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য নয়, বাংলাদেশের কল্যাণে কাজ করতে চায় বিএনপি।
এ সময় দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ,কেন্দ্রীয় নেতা রফিক সিকদারসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।