দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১৭আগষ্ট : জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনি বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন,তা কোনো দায়িত্বশীল নেতার কাছ থেকে জনগণ আশা করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷আওয়ামী লীগের নেতারাই বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমান ইসু্যগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতেই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হচ্ছে৷রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক শোক সভায় মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন৷
সাবেক মন্ত্রী প্রকৌশলী প্রয়াত এল কে সিদ্দিকীর স্মরণে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) ওই সভার আয়োজন করে৷জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে ফেরাতে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় জিয়াউর রহমানকে জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷
শোক দিবসের আলোচনায় গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন৷প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী৷ যেভাবেই হোকএখনো প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য জাতি আশা করে না৷ সবাই জানে আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার মোশতাকই শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় জড়িত৷
ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই৷জনগণের দৃষ্টি এখান থেকে ফেরাতে চায় সরকার৷ এ জন্য এই ইসু্য সামনে আনা হচ্ছে৷বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকার দেশকে অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে৷ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ চায় বাকশাল কায়েম করতে৷ কিন্তু জনগণ অতীতেও মেনে নেয়নি, এখনো নেবে না৷
আওয়ামী লীগ আবারো ধীরে ধীরে বাকশালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ বাকশাল কায়েম আগে যতটা সহজ ছিল এখন ততটা সহজ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রকাশ্যে শেখ মুজিবের বাকশাল কায়েমের পক্ষে কথা বলছেন৷ আগে বাকশাল কায়েম সহজে হলেও এখন তা সহজে হবে না৷তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার পূর্বে অর্জিত সব অর্জনকে ধূলিস্মাত করে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,আপনি বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন৷তবে বাংলাদেশের মানুষ আগে কখনো একনায়কতন্ত্র মেনে নেয়নি ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না৷ ইতিহাস তাই বলে৷
মির্জা ফখরুল বলেন, যাদেরকে নিয়ে আপনি মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন তারা শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর কী বলেছিল সে কথা কি আপনার মনে আছে৷ তথ্যমন্ত্রী বা তার দলের কী ভূমিকা ছিল৷এল. কে. সিদ্দিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার জীবনী থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে৷ রাজনৈতিতিক অঙ্গনে এমন সত্ এবং যোগ্য নেতাদের আজ বড় বেশি প্রয়োজন৷ যারা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকোশলী আ ন হ আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাবের যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী একেএম শরিফুল ইসলাম,ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মনজুর হোসেন, এল. কে. সিদ্দিকীর মেয়ে ইফতেসাম সিদ্দিকী প্রমূখ৷