DeepikaPadukone

দৈনিকবার্তা-বিনোদন ডেস্ক,২৩ সেপ্টেম্বর: দীপিকার বক্ষসন্ধির (স্তনসন্ধি, ক্লেভেজ) ভিডিও নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে বলিউডসহ সারা ভারতে। এমনকি তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। দীপিকা ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং তর্ক বিতর্কের বিষয়টি অনেক আন্তর্জাতিক পত্রিকায় নেতিবাচক হিসেবেই এসেছে।

সম্প্রতি দীপিকার বক্ষসন্ধি দেখা যাচ্ছে এমন একটি ভিডিও টুইট করে টাইমস অব ইন্ডিয়া। আর তাতে লেখা হয়, ও মাই গড! দীপিকার ব্ক্ষসন্ধি প্রদর্শনী।

ওই টুইট ও ভিডিও দেখে দীপিকা প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন এবং পাল্টা টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘আমি একজন নারী, আর আমার একটি বক্ষসন্ধি আছে। তাতে তোমাদের সমস্যা কি।’ এছাড়া নারী অধিকার ও নারীর প্রতি সম্মানের বিষয় নিয়েও তিনি কয়েকটি টুইট করেন।

শুরু হয়ে যায় আলোচনা সমালোচনা আর বিতর্কের ঝড়। দীপিকার টুইটটি ৭ হাজার বারের বেশি রিটুইট হয়।

পরে অবশ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া টুইটসহ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলে। পত্রিকাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দীপিকাকে ছোট করার জন্য বা তার নারীত্বে আঘাত করার জন্য বিষয়টি করা হয়নি। এটা অনলাইন পত্রিকারই একটা ভাষা। ছাপা পত্রিকা আর অনলাইন ভার্শন দুটো আলাদা জিনিস। যারা এ ভাষা বোঝেন না, তাদের এসব বিষয় বোঝানো মুশকিল।

বলা হয়, শাহরুখ খানের শরীর দেখিয়ে যেমন লেখা হয়, ও মাই গড! শাহরুখ খানের এইটপ্যাক বডি। ঠিক তেমনি ওই ভিডিওতে দীপিকাকে সেক্সি লাগছিল বলেই লেখা হয়েছিল, ‘ওই মাই গড! দীপিকার বক্ষসন্ধির প্রদর্শনী।’ নায়কের সেক্সি শরীর আর নায়িকার সেক্সি ক্লেভেজকে এখানে আলাদা করে দেখা হয়নি, দেখার অবকাশও নেই।

কিন্তু তারপরও থেমে থাকেননি দীপিকা। তিনি এ নিয়ে কথা বলেই গেছেন। সর্বশেষ তিনি ফেসবুকে লেখেন, একজন অভিনয় শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন আর পর্দার জীবন আলাদা। অনেক সময় শুধু অভিনয়ের জন্যই অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু তার তো একটা ব্যক্তি জীবন আছে।

deepika-200x300

টাইমস অব ইন্ডিয়া এরপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে, দীপিকা তোমার দুই জীবন আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু লোক চক্ষুর সামনেই যা ঘটে তা প্রকাশ করতে কি কারো অনুমতির দরকার আছে?

এরপর বলা হয়, আমরা কোনো নারীর যৌনাঙ্গ জুম করে দেখাইনি বা স্তনের বোঁটাও (নিপল) দেখাইনি। পৃথিবীজুড়ে অনলাইন পোর্টালে যে প্রকাশ ভঙ্গি ব্যবহার করা হয়, শুধু তেমন প্রকাশ ভঙ্গিই ব্যবহার করা হয়েছে।

শুধু বক্ষসন্ধি নয় উরুসন্ধিও দেখিয়েছেন দীপিকা! টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, আগামী ছবি যাতে হিট হয় সেজন্যই এই বিতর্কে মেতেছেন দীপিকা। তার এমন কাজকর্ম ভণ্ডামিরই নামান্তর। ভিডিওটি এক বছর আগের। এটা যদি তার গায়ে এতই লাগতো তাহলে ইউটিউবে ওই ভিডিও এক বছর আগে আপলোড করা হলেও তিনি চুপ ছিলেন কেন?

টাইমস অব ইন্ডিয়া তার প্রমাণও দিয়েছে। একাধিক ছবি তারা প্রকাশ করে দেখিয়েছে, দীপিকা এর আগে কতবার তার ব্ক্ষসন্ধি প্রদর্শন করেছেন এবং ম্যাগাজিনের জন্য কতবার নিজেকে খুলে ধরেছেন।

প্রকাশ করা হয়েছে, কিংফিসারের একটি ক্যালেন্ডারের ছবিও। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দীপিকা সোনালী রঙেরে অন্তর্বাস পরে পানিতে ভেসে আছেন। ছবিতে তার উরুসন্ধি বেশ স্পষ্ট। পেন্টি পরা নারীর উরুসন্ধি প্রদর্শনের আর কতটুকু বাকি থাকে তা দর্শকরা জানেন।

দুই পক্ষেরই এমন যুক্তি তর্ক আছে। কিন্তু এত কিছুর পরও একটা বিষয় আমরা পাঠকরা ভেবে পাই না। ছবিতে দীপিকা এত কিছু দেখান আর এই সামান্য একটা ভিডিওর কারণে তিনি এত ক্ষেপলেন কেন? তাহলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবিই কি ঠিক?