Fakhrul

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১অক্টোবর: চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংঘাত এড়াতে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রধানমন্ত্রীকে তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷তিনি বলেন, সঙ্কট নিরসনে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে এবং নতুন নির্বাচন দিতে হবে৷

দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকর মোশাররফ হোসেনের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷ জনরোষ থামাতে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর আপসরণের খবর ছড়িয়ে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসিনার নামে ফেসবুক পোস্ট দেয়ায় এক যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়, অথচ মহানবীকে নিয়ে মন্তব্য করায় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ তাই অবিলম্বে তার গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি৷

ফখরুল বলেন, জনগণের আন্দোলনে যাতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন নেতৃত্ব দিতে না পারেন সেজন্য তাকে আটক রাখা হয়েছে৷ সাড়ে ৩ লাখ হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাইছে সরকার৷তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ যারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে৷ জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারকে সরে যেতে হবে৷ জনগণের নতুন সরকার গঠন হবে৷

জাতিসংঘ এবং ব্রিটিশ সরকারকে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে, দেশকে যদি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে না চান, যদি সংঘাত এড়াতে চান তাহলে অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন জনগণের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপে বসুন৷ নইলে মানুষের ভোটের অধিকার ও গণন্ত্রের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করা ছাড়া আমাদের আর বিকল্প কোনো পথ থাকবে না৷

তিনি বলেন,জনগণের রোষকে শান্ত করতে মন্ত্রীর অব্যাহতি নিয়ে নানা ছলচাতুরি করা হচ্ছে৷ কিন্তু এগুলো করে সরকার পার পাবে না৷

সরকার একদলীয় শাসন কায়েমের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, একদলীয় শাসন কায়েম আওয়ামী লীগের অনেক পুরোনো স্বপ্ন৷ এ স্বপ্ন তারা ১৯৭৫ সালে পূরণ করতে চেয়েছিল৷ সে সময়ও তারা বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরেছিল৷ এবারও তারা বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছ এবং একদলীয় শাসন কায়েমের স্বপ্ন দেখছে৷

ফোরামের সভাপতি মোহম্মদ শাজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ৷ ঢাকাস্থ দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে৷