মির্জাপুরে মা ও তিন মেয়েসহ চারজনকে পুড়িয়ে হত্যার

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০১৪ : ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজজ্জামান বলেছেন, মির্জাপুরে মা ও তিন মেয়েসহ চারজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা বেদনাদায়ক৷ এই মামলায় ইতিমধ্যেই ৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মুল আসামী জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে৷ জাহাঙ্গীরকে কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে বা সন্ধান দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে তিনি ঘোষনা দেন৷ তিনি আরো বলেন, মুল আসামী জাহাঙ্গীরসহ কোন আসামীই যাতে পালিয়ে বিদেশে যেতে না পারে তার জন্য সর্তক্য দৃষ্টি রাখা হচ্ছে৷ এছাড়া আসামীদের ধরতে সাংবাদিকসহ জনগনের সাহায্য চেয়ে ডিআইজি আরো বলেন, এধরণের আসামীদের কেউ আশ্রয় দিলে তারাও অপরাধী হবে৷ তাদেরও শান্তি দেয়া হবে৷

তিনি শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সোহাগ পাড়ায় মা ও তিন মেয়েসহ চারজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার খোঁজ খবর নিতে এসে মির্জাপুর থানায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়মকালে এ কথা বলেন৷  এসময় নিহত হাসনার স্বামী ও তিন মেয়ের বাবা প্রবাসী মজিবুর রহমান, হাসনার ভাই মামলার বাদী মোফাজ্জল হোসেন ও হাসনার বাবা আলাল মিয়া মির্জাপুর থানায় ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজজ্জামানের সাথে সাক্ষাত করেন৷ এসময় স্ত্রী সন্ত্রান হারা প্রবাসী মজিবুর রহমান কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে৷

মির্জাপুর থানা পুলিশ শনিবার ভোররাতে কালিয়াকৈর এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত ৪নং আসামী বদর উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে৷ সে মুল আসামী জাহাঙ্গীরের চাচা৷ এ নিয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করছে৷ গ্রেফতারকৃতরা হলো মাছরাঙ্গা ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মীর আজাদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আবুল বাশার, সুপারভাইজার ওয়াসিম মিয়া, লাইনম্যান আব্দুল মান্নান, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই নয়াপাড়া গ্রামের সুশানত্ম কুমার রায়, অভিযুক্ত ঘাতক জাহাঙ্গীরের ফুপা পাশর্্ববতী কালিয়াকৈর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের নান্নু মিয়া ও খালাত ভাই সখিপুর উপজেলার বড়চালা গ্রামের বাদশা মিয়া৷

উল্লেখ, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতিবেশি বখাটে যুবক জাঙ্গাহীর হোসেনসহ অন্যান্যরা গত মঙ্গলবার ঈদের দিন ভোররাতে মির্জাপুরের দক্ষিন সোহাগ পাড়া গ্রামের প্রবাসী মজিবুর রহমানের ঘরে পেট্রোল ঢেলে স্ত্রী হাসনা বেগম ও তিন মেয়ে মনিরা, মিম ও মলিকে পুড়িয়ে হত্যা করে৷ এঘটনায় পরের দিন নিহত হাসনার ভাই মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন৷