Bangladesh Bank

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৫নভেম্বর: কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট শেয়ারের ৫ শতাংশের বেশি রাখতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে৷ একই সঙ্গে বর্তমানে যাদের কাছে ওই পরিমাণ শেয়ার আছে, তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে৷ সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো হয়৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানায়, কয়েকটি ব্যাংকে এক পরিবারের একাধিক সদস্য বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন৷ সেজন্য তথ্য সংগ্রহের এই উদ্যোগ৷ এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে যাতে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত না হয়, তাও নিশ্চিত করতে চাইছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷

৫ শতাংশের বেশি রাখতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য শেয়ার মালিকদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে৷ নতুন এই ফরম সোমবারের সার্কুলারের সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে৷একক বা যৌথভাবে কোনো ব্যাংকের ৫ শতাংশ শেয়ার কেনা বা ধারণের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে৷

আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বা একক পরিবার বা প্রতিষ্ঠান একটি ব্যাংকের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ার রাখতে পারে৷ এক পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারেন না৷সূত্র জানায়, কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে একই পরিবারের দুজনের বেশি সদস্য পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন৷ তারা পরিচালনা পর্ষদ ছাড়ছেন না কেন, চিঠি দিয়ে তা জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ জবাবে ওই সব পরিচালকরা বলেছেন,তারা একই পরিবারের সদস্য হিসেবে নয় বরং শেয়ারধারী হিসেবে পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন৷ এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকে যাদের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার আছে,তারা কী প্রক্রিয়ায় শেয়ার কিনেছে বা পেয়েছে (শেয়ারবাজারের মাধ্যমে/ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে/ উপহার হিসেবে) তা অনুমোদন নেয়ার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে৷শেয়ার কিনে থাকলে টাকার অঙ্কও উল্লেখ করতে হবে৷

সার্কুলারে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫ ভাগের সমপরিমাণ শেয়ার ধারণ করে আছেন, তাদের নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে না৷ তবে এ ধরনের শেয়ারধারীদের আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত নতুন ছক অনুযায়ী শেয়ার ধারণ সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করতে হবে৷ তবে আবেদন বা তথ্য দেয়ার কাজটি নিজে বা ব্যক্তিগতভাবে করলে হবে না; সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের আবেদন বা তথ্য পাঠাতে হবে৷সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে এ-সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ ও সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে সার্কুলারে৷