mexico killings

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৮নভেম্বর: ছয় সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ মেঙ্েিকার ৪৩ ছাত্রকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার অপরাধী চক্রের সদস্যরা৷শনিবার মেঙ্েিকার প্রধান আইন কর্মকর্তা জেসাস মুরিল্লো’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি৷ক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মুরিল্লো৷মুরিল্লো বলেছেন, পুলিশ ওই ছাত্রদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল বলে অপরাধী চক্রের সন্দেহভাজন তিন সদস্য দাবী করেছেন৷

অপরাধী চক্রের সদস্যরা বলেছেন, ছাত্রদের তাদের হাতে তুলে দেয়ার পর কয়েকজন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন এবং বাকীদের তারা গুলি করে হত্যা করেন, এরপর সবার লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন৷২৬ সেপ্টেম্বর মেঙ্েিকার গুয়েরেরো প্রদেশের ইগুয়ালা শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওই ৪৩ ছাত্র নিখোঁজ হয়েছিলেন৷

ছাত্রদের নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে যোগ থাকার কারণে সমপ্রতি গুয়েরেরো ইউনিদোস মাদক চক্রের ওই তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷নিখোঁজ ছাত্রদের স্বজনেরা দাবী করেছেন, তারা বলে আসছিলেন যেখান থেকে ওই ছাত্ররা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, তার কাছ বরাবর নদী থেকে ছয় ব্যাগ অজ্ঞাত মানুষজনের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল৷মুরিল্লো বলেছেন, ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওই দেহাবশেষগুলো নিখোঁজ ছাত্রদের কিনা তা বলা যাবে না৷

এর আগে ইগুয়ালা এলাকার আশপাশে তল্লশী চালিয়ে কয়েকটি গণকবর আবিষ্কার করা হলেও প্রাথমিক পরীক্ষায় সেগুলোতে ছাত্রদের লাশ নেই বলে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল৷সংবাদ সম্মেলনে সন্দেহভাজনদের স্বীকারোক্তির ভিডিও টেপ প্রদর্শন করেন মুরিল্লো৷ স্বীকারোক্তিতে তারা বলেছেন, ছাত্রদের ময়লার ট্রাকে তুলে নিকটবর্তী কোকুলা শহরের ময়লা ফেলার স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়৷

এই ট্রাকেই প্রায় ১৫ জন ছাত্র শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান, বাকীদের তারা গুলি করে মারেন৷ এরপর একটি অগি্নকুণ্ডে টায়ার, কাঠ ও প্লাস্টিক বজ্যর্ে পেট্রল ঢেলে সবগুলো লাশ ১৪ ঘন্টা ধরে পোড়ানো হয়৷

এ বিষয়ে মুরিল্লো বলেন, আগুন মধ্যরাত থেকে পরদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত জ্বলেছিল৷ এরপর তাপের কারণে পরবর্তী তিন ঘন্টা পর্যন্ত অপরাধীরা দেহাবশেষগুলো নিয়ে আর কিছু করেনি৷তিন ঘন্টার পর তাপ কমে আসলে অপরাধীরা দেহাবশেষগুলো চুর্ণ করে ব্যাগে ভরে নদীতে ফেলে দেন৷

সন্দেহভাজনরা জানিয়েছেন, কতোজন ছাত্রকে তারা নিয়ে গিয়েছিলেন সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন তারা৷ তবে তাদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, ছাত্রদের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি হবে৷

উদ্ধারকৃত দেহাবশেষগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা অস্ট্রিয়ায় করা হবে বলে জানিয়েছেন মুরিল্লো, তবে এতে কতো সময় লাগতে পারে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি৷তিনি বলেছেন, অগি্নদগ্ধদেহাবশেষগুলো এমনভাবে পুড়ে গেছে যে এগুলো থেকে পরীক্ষার জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা বেশ কঠিন হবে৷