দৈনিকবার্তা-ঢাকা,৮নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ৷ ৩৬ বছর বয়সী ওই নারী শেখ হাসিনাকে হত্যার ছক অনুযায়ী অস্ত্র সংগ্রহ করছিলেন৷ এ ছাড়াও বাংলাদেশে সামরিক অভূ্যত্থানের পরিকল্পনাও ছিল তাঁর৷ দ্য গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের খবরে এমনটাই দাবি করা হয়েছে৷
ওই নারীর বিরুদ্ধে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হয়ে কাজ করার অভিযোগও আনা হয়েছে৷ আসাম পুলিশের বিশেষ অপারেশন ইউনিট তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পল্লব ভট্টাচার্য৷ শেখ হাসিনাকে হত্যার বিষয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের ( জেএমবি) পলাতক জঙ্গিদের একটি পরিকল্পনা ভারত নস্যাত্ করে দিয়েছে, এমন ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই নারীকে আটক করলো আসাম পুলিশ৷
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যায় জেএমবির একটি পরিকল্পনার কথা ভারতের গোয়েন্দাদের জানানোর মধ্যে শনিবার আসামে ৩৬ বছর বয়সী ওই নারীকে গ্রেপ্তারের খবর জানাল রয়টার্স৷২০০৪ সালের ২১ অগাস্টের হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা বলে আসছেন, মৃতু্যশঙ্কা উপেক্ষা করেই তিনি তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷
আসামের পুলিশ উপপ্রধান পল্লব ভট্টাচার্য রয়টার্সকে বলেছেন, বিশেষ এক অভিযানে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাকে আদালতে চালান দেওয়া হচ্ছে৷ওই নারী ভারতবিরোধী যুদ্ধ চালাতে অস্ত্র সংগ্রহ করছিলেন, এই অভিযোগও আনা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা পল্লব৷এসব জঙ্গি শেখ হাসিনাকে হত্যার কয়েকটি চেষ্টা করেছিল বলে দাবি করেছিল ভারতীয় পুলিশ৷ এ ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও হত্যা’র চেষ্টা করেছিল বলে ভারতীয় ওই সূত্রটি দাবি করেছিল৷
ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান,বাংলাদেশ থেকে পলাতক জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে বেছে নিয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়াও জেএমবির ছকে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা ছিল৷
সমপ্রতি ভারতের বর্ধমানে বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা৷ বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা পাওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা৷ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বোমা বিস্ফোরণ এবং জঙ্গি তত্পরতা সন্ধানে প্রতিদিনই তারা নতুন তথ্য পাচ্ছেন৷ এ বিষয়গুলোও প্রতিবেদনে আকারে বাংলাদেশের কাছে পাঠানো হবে৷
