16

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭নভেম্বর: জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযানে যোগ দেয়া আরব আমিরাত ৮৩টি ইসলামপন্থি দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে৷শনিবার দেশটি এই ৮৩টি সংগঠনের নাম প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে দ্য ডন৷এই তালিকা দেশটির মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে এবং দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ডবি্লউএএম তালিকাটি প্রকাশ করেছে৷ মার্চে সৌদি আরবও একই ধরনের একটি ঘোষণায় বেশ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল৷

আরব আমিরাতের কালো তালিকায় আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট (আইএস), মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইয়েমেনের শিয়া বেসামরিক বাহিনী হাউথির নাম আছে৷

মিশর ও সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখা গঠনের চেষ্টার দায়ে সমপ্রতি আরব আমিরাত বহু আমিরাতি ও মিশরীয়কে কারাদণ্ড দিয়েছে৷ ব্রাদারহুড উপসাগরীয় বাদশাদের ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারর্স’কেও সন্ত্রাসী সংঘঠন ঘোষণা করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে আমিরাত৷ মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক অভিভাবক শেখ ইউসুফ আল কারাদাবি কাতার ভিত্তিক এই সংগঠনটির প্রধান৷

আমিরাতের আল-ইসলাহ (সংস্কার) সোসাইটি এবং ইতোপূর্বে শোনা যায়নি এমন সংগঠন “ইউএই জিহাদি সেলকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷উপসাগরীয় দেশগুলোর হিজবুল্লাহ এবং একই নামের ইরাকের কয়েকটি ব্রিগ্রেডকে কালো তালিকাভুক্ত করা হলেও তালিকায় ইরান সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী রাজনৈতিক দল ও বেসামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহ’র কথা বলা হয়নি৷সিরিয়ায় লড়াইরত, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মালি, পাকিস্তানে তত্‍পর বেশ কয়েকটি ইসলামি বিগ্রেডকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷ নাইজেরিয়ার বোকো হারাম ও আফগানিস্তানের তালেবানকেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় রাখা হয়েছে৷

আমিরাতের এই তালিকায় ফেডারেশন অব ইসলামিক অর্গানাইজেশন ইন ইউরোপ, মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন্স ইন ব্রিটেন এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে তত্‍পর বেশ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷অগাস্টে আরব আমিরাত কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন জারি করে৷ সন্ত্রাসীদের তহবিল যোগানো, জিম্মি করা, মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং মতো অপরাধ দমনের উদ্দেশ্যে এই আইন করা হয়৷সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অভিযানে বাহরাইন, জর্দান, কাতার ও সৌদি আরবের পাশাপাশি আরব আমিরাতও অংশগ্রহণ করছে৷