Dr.-Hasan-Mhamud-News-24.11.14-1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ নভেম্বর: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সস্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে নিজেদের হাস্য রসে পরিণত না করতে বিএনপির নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন৷ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে হতাশার সূর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ৷

তিনি সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এ আহবান জানান৷সংগঠনের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী প্রমুখ৷বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, আপনারা অতীতে অনেকবার (বিএনপি) আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ আপনাদের নেতাদেরকে রাজপথে দেখা যায় নি৷

তিনি বলেন, ‘ আপনাদের আন্দোলন করার ক্ষমতা কতটুকু- তা আমাদের জানা আছে৷ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে আর নিজেদের হাস্যরসে পরিণত করবেন না৷৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে সে সরকার অনেক বেশী শক্তিশালী উলেস্নখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের শক্তিতেই ক্ষমতায় আছে৷

ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেতারা নাকি তারেক রহমানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেৰা করছেন৷ আমরাও তার জন্য অপেৰা করছি৷ কারণ আদালত তাকে খুজছে৷ তিনি একজন পলাতক আসামী৷ তিনি বলেন, তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন বিএনপির ঘটা করে পালন করা দেখে দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়েছে৷ কেননা, বিএনপি কখনও ক্ষমতায় গেলে দেশে অতীতের মতো আবারও ‘হাওয়া ভবনের’ মতো বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে৷

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারাই তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সংশয়ে আছেন৷ কারণ অতীতেও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে নেতৃবৃন্দ চেয়ারপারসনের বাড়ির সামনে ১শ জন কর্মীকেও জড়ো করতে পারেনি৷ আন্দোলনের তারিখ ঘোষণা করেও নেতাদের খুঁজে পায়নি বিএনপি৷ আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন৷

ড.হাছান মাহমুদ মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যখন আন্দোলনের কথা বলেন তখন মানুষের মধ্যে সেই দুঃসহ স্মৃতি ফিরে আসে৷ যখন আপনারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেন, বাসে অগি্নসংযোগ করেন, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরে সারাদেশে যে নৃশংসতা করেছিলেন তা জনগণ কখনোই ভুলে যাবে না৷ তাই আন্দোলনের নামে যদি আবারো নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করা হয় তাহলে সরকার তা শক্ত হাতে দমন করবে৷

তিনি বলেন, আমাদের সরকার সকল প্রকার নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস দমনে বদ্ধ পরিকর৷ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অতীতের অন্যসব আওয়ামী লীগ সরকার থেকে আরো বেশি শক্তিশালী৷ আমি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান থাকতে৷ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল৷

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, বিএনপির শাসনামলে হাওয়া ভবন হয়ে উঠেছিল সকল প্রকার দুর্নীতি,অপশাসন, চাঁদাবাজি ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য৷ আর এই দুর্নীতি-অপশাসনের মূল নায়ক ছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান৷ যাকে সবাই দুর্নীতির বরপুত্র” হিসেবে জানেন৷ যার নেতৃত্বে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিলো৷ যিনি জনগনের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিলেন৷ তিনি এখন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে লন্ডনে পলাতক হিসেবে বসবাস করছেন৷ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি বিএনপি এই দুর্নীতির বরপুত্রকেই ভবিষ্যতে তাদের দলের কাণ্ডারি হিসেবে দেখতে চায়৷