Untitled-4-765x526

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১ জানুয়ারি: বাংলাদেশকে কেউ যেন আর খুনের রাজত্ব বানাতে না পাওে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷বৃহস্পতিবার মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২০তম আয়োজনের উদ্বোধন করে তিনি এ আশ্বাস দেন৷ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রফতানি উন্নয়ন বু্যরো (ইপিবি)৷

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নয়, উন্নয়ন দেখতে চায়৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকেই ব্যবসা সহনশীল পরিবেশ তৈরি করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে সরকার৷ এর সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে৷তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্ব বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে হবে৷ বর্তমান সরকার ব্যবসা বান্ধব হওয়ায় বিশ্ব মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে৷

বর্তমান সরকার ব্যবসা বান্ধব হওয়ায় বিশ্ব মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী৷ বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানির গড় প্রবৃদ্ধির হার ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ থাকার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানেই থামলে চলবে না; রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করতে হবে৷ দেশীয় উদ্যোক্তাদের রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ১৯২টি দেশে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে৷ আমাদের এঙ্পোর্ট বাস্কেট বৃদ্ধি করতে হবে৷ নতুন নতুন বাজার ও নতুন পণ্য উত্‍পাদন করতে হবে

চলতি অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে৷ এ লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার’ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা৷একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও উদ্যোগ সৃষ্টির তাগাদা দিয়ে তিনি বলেন, সকল সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিচ্ছে সরকার৷ তবে আপনাদের (ব্যবসায়ী) সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই এবং আপনারা পূর্ণ উদ্যোগে কাজ করবেন- সেটা আমরা চাই৷এসময় বিশ্ব বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷

তার মতে,বাণিজ্য সমপ্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ‘অধিকতর উদারীকরণের মাধ্যমে যে সব কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তাতে সম্ভাবনার পাশাপাশি নানা ধরনের চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি হয়েছে৷উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে৷ পণ্যের মানোন্নয়ন ও বহুমূখীকরণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে৷

এসময় শেখ হাসিনা তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভৌত অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ানোর জন্য সড়ক, নৌ ও রেল তিন খাতেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার৷ বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদনও বাড়ানো হচ্ছে৷তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী৷ব্যবসা-বাণিজ্য সকল কিছুর জন্য দরকার একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা পুনরায় ক্ষমতায় এসেছি৷ আজকে দেশের মানুষের মধ্যে আস্থা, আত্মবিশ্বাস ও স্বস্তি এসেছে, বলেন তিনি৷

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বস্তির পরিবেশ রয়েছে মন্তব্য করে আগামীতে অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় জানান তিনি৷প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরেও হত দরিদ্রদের অবস্থার উন্নয়নে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে৷ আমরা ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আর ঘুরতে চাই না৷ সম্মানের সাথে বাঁচতে চাই, নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চাই৷

দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে আসার কথা তুলে ধরে এই হার আরো ১০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যের কথা বলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান৷ শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ২২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে সাত মাসের পণ্য আমদানির খরচ মেটানো যাবে৷ সরকারের স্বর্ণের মজুদও বৃদ্ধি পেয়েছে৷বর্তমানে অর্থনীতিতে যে স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, সেটিই প্রমাণ করে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে৷

মূল্যস্ফীতি সহনীয় থাকায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছেছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী৷ ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

তিনি বলেছেন, খুব দ্রুতই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে৷ তখন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্য সুবিধাগুলো আমরা পাবো না৷তখনকার পরিস্থিতিতে তীব্র প্রতিযোগীতা মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে৷ সে জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে৷

PM_Trade_Fair1

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকতে আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে৷ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে আমাদের উত্‍পাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে৷ সাথে সাথে পণ্যের মানোন্নয়ন, ব্রান্ডিং ও আকর্ষণীয় করার প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে হবে৷ নিজস্ব ব্রান্ডে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হলে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ এবং এ খাত হতে প্রাপ্ত সুবিধা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে৷ রপ্তানি বিশ্বে আমাদের অবস্থান সংহত হবে৷রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি নতুন নতুন বিদেশি বাজার খোঁজার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী৷তিনি বলেন, বর্তমান আনর্্তজাতিক বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং৷ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাণিজ্য সমপ্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে৷

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য উদারীকরণের ফলে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপের প্রথা উঠে যাবে৷ ফলে আমদানি শুল্ক হ্রাস পাবে৷ আমদানি শুল্ক হ্রাস অব্যাহত থাকার ফলে বাংলাদেশের মত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রবর্তিত জিএসপি স্কিমের আওতায় প্রাপ্ত সুবিধাগুলো দিনদিন সঙ্কুচিত হতে থাকবে৷ এটি একদিকে আমাদের সামনে যেমন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জেরও সৃষ্টি করছে৷বাণিজ্য প্রসারে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ব্যবসার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাজ করছে৷ সরকার অবকাঠামো উন্নয়ন করছে৷ গ্যাস, বিদু্যতের উত্‍পাদন বাড়িয়েছে৷

ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্রগ্রাম রোডকে ৬ লেনে উন্নীতকরণ ও এখানকার রেলকে ডুয়েল গেজে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার অবকাঠামো উন্নয়নের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড ৪ লেনে রূপান্তরের কাজ চলছে, আগামী জুন মাসে এর কাজ শেষ হবে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার সড়ক, রেল ও নৌ কে সমানগুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী৷

দেশে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে৷ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখেছি৷ মানুষ এখন শান্তিতে আছে, স্বস্তিতে আছে৷৫ জানুয়ারির নির্বাচনকালীন সময়ের সহিংসতার কথা তুলে ধরে ে েহাসিনা বলেন, আমরা আর বিএনপি জামায়াতের খুনের রাজত্বে ফিরে যেতে চাই না৷ আমরা বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চাই৷ দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধওে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারও কাছে শুনতে চাইনা বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ৷ ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে৷ ২০০৫ সালের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ৷ আমরা তা ২৪ শতাংশে নেমে এনেছি৷ আরও ১০ ভাগ দারিদ্র্য হ্রাস করবো৷ ৫ কোটি বেশি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে৷সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুদ্রাস্ফীতি আমরা সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে এসছি৷ গত নভেম্বরে সহনীয় ৬.২১ শতাংশ ছিল৷মায়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুদ্র বিজয়ের ফলে সমুদ্র-কেন্দ্রিক ব্লু-ইকোনমি সমপ্রসারণের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ বিগত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে আমাদের জিডিপি বেড়েছে ৬.২ শতাংশ হারে৷ মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৬৩০ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১২০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে৷ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২২.২৩ বিলিয়ন ডলার৷

বর্তমানে আমরা ৭২৯টি পণ্য বিশ্বের ১৯২টি দেশে রপ্তানি করছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ গত অর্থবছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.১৯ বিলিয়ন ডলারে৷ অর্থাত্‍ ৩গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বিগত পাঁচ বছরে আমাদের রপ্তানির গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ১৪.৯০ ভাগ৷ আমাদের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন ছিল ঈর্ষনীয়৷তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়৷ চীনের পরেই আমাদের স্থান৷ এই অবস্থানকে ধরে রাখতে হবে৷ নতুন বাজার খুঁজতে হবে, নতুন পণ্য রপ্তানিতে যোগ করতে হবে৷ ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা আমি মনে করি এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব৷ এজন্য প্রয়োজন আপনাদের প্রচেষ্টা আর সরকারের সহযোগিতা৷

ব্যবসা ব্যবসায়ীদের জন্য৷ সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক বেড়েছে৷ পাশাপাশি স্বর্ণ মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো(ইপিবি)র ভাইস চেয়ারম্যান শুভাসিস বোস৷পরে প্রধানমন্ত্রী পাশের মেলা প্রাঙ্গণের কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন৷এদিকে, এবার বাণিজ্য মেলায় ৯০টি পূর্ণ প্যাভেলিয়ন ও ৫৮টি মিনি প্যাভেলিয়নসহ সর্বমোট ৫০০টি স্টল রয়েছে৷