স্বর্ণ

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ ফেব্রুয়ারী: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬০ কেজি ওজনের স্বর্ণেরবার উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ৪৬ কেজি স্বর্ণের কথা বলা হলেও পরবর্তীতে আরো স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে স্বর্ণেরবারগুলো উদ্ধার করা হয়। এই সোনা চোরাচালানে বিমানকর্মীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহ এনবিআর চেয়ারম্যানের।সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম হয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসার পর ওই উড়োজাহাজে তল্লাশি চালিয়ে সোনা পাওয়ার কথা জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।

এরপর দুপুর পর্যন্ত ওই বিমানে তল্লাশির পর রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, মোট ৬০ কেজির মতো সোনা পাওয়া গেছে উড়োজাহাজটিতে।

বিমানটির টয়লেটে কমোডের মধ্যে এবং আয়নার পেছনে এই সোনার বারগুলো লুকিয়ে রাখা ছিল বলে জানান তিনি। মোট ৪৮৫টি সোনার বার পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারটি বার এক কেজি ওজনের, বাকিগুলো ১০ গ্রাম ওজনের। এছাড়া কিছু অলঙ্কারও পাওয়া গেছে।

গত দুই বছরে ঢাকার শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে চোরাই সোনার অনেকগুলো চালান ধরা পড়ে। এর সঙ্গে বিমান কর্মকর্তাদের যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন বিমানের এক ডিজিএমও।৬০ কেজি সোনা চোরাচালানের সঙ্গেও বিমানের কারও না কারও যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, বিমানটি ঢাকায় আসার কথা ছিল সাড়ে ১০টায়, কিন্তু এটি এসেছে ৮টা ২০ মিনিটে। আবার বোর্ডিং ব্রিজে না ভিড়িয়ে এটি ভেড়ানো হয় বে-তে। সব মিলিয়ে ধারণা করা যায়, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।বিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক উপ মহাব্যবস্থাপকসহ পাঁচজনকে গত বছরের নভেম্বরে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কারও সহযোগিতা ছাড়া নিয়মিত সোনা চোরাচালান যে সম্ভব নয়,সে সন্দেহ আগে থেকেই ছিল।

আরো স্বর্ণ পাওয়া যেতে পারে এমন আশঙ্কায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান।

স্বর্ণেরবার উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, দুবাই থেকে আসা বিজি০৪৮ ফ্লাইটের টয়লেটের আয়নার পেছনে কৌশলে রাখা অবস্থায় স্বর্ণেরবারগুলো উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ৪৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হলেও পরবর্তীতে তা বেড়ে ৬০ কেজিতে দাঁড়িয়েছে।