DoinikBarta_দৈনিকবার্তা sayeed-khokon-milon

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ এপ্রিল: আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।শনিবার ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ স্বাক্ষরিত এ নোটিশ পাঠানো হয়।রোববার বিকেণ ৩টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে তাদের এর উপযুক্ত জবাব দিতে বলা হয়েছে।এ বিষয় সাঈদ খোকন বলেন, পুরান ঢাকায় হাজি সেলিম সাহেবের আমন্ত্রণে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের পর মুসল্লিদের সঙ্গে হাত মেলানোর ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে এর উত্তর নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানাব।

দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জুমার নামাজ এবং সংসদ সদস্যের বাড়িতে দাওয়াতে অংশ নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের খাঁড়ায় পড়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন।রাজধানীর লালবাগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে দাওয়াতে অংশ নেওয়ার একদিনের মধ্যে শনিবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।সাঈদ খোকনের প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিলনকেও কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানিয়েছেন।২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে পোস্টার সাঁটানোর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে মিলনের কাছে, যিনি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছিলেন।সাঈদ খোকন ও মিলন দুজনকেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।শুক্রবার পুরান ঢাকার চকবাজার শাহী জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা সাঈদ খোকন ও হাজি সেলিম গলাগলি করে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সামনে আসেন।

এরপর হাজি সেলিমের বাড়িতে খেতে যান সাঈদ খোকন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু এবং লালবাগের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনও তাদের সঙ্গে ছিলেন।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ এবং ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগকেও সেখানে দেখা যায়। নোটিসের বিষয়ে সাঈদ খোকনের ব্যক্তিগত সচিব সুমন শনিবার দুপরে বলেন, তিনি খবরটি শুনেছেন, তবে এখনও কোনো চিঠি হাতে পাননি।ওই দাওয়াতের বিষয়ে ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে খোকন বলেন, সেলিম ভাইয়ের দাওয়াত ছিল, আর আমরা দুজন সেখানে যাওয়ায় কেউ কেউ এসেছিলেন।সাঈদ খোকনের পাশাপাশি হাজি সেলিমও মেয়র পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত সাঈদ খোকনের পক্ষে যাওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দেননি তিনি।সিটি করপোরেশন নির্বাচানের আচরণবিধি অনুযায়ী ৭ এপ্রিলের পর ভোট চাওয়ার সুযোগ রয়েছে প্রার্থীদের। আর ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর কথা রয়েছে।