images10

দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ২২ মে: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মহিলা রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর করা হয়েছে। এতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ পবিত্র কুমার কুন্ডু, নার্স কাকতি লতা পাল ও এক পুলিশ-সদস্য সহ অন্ত:ত ৪০ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে স্থানীয় সহ¯্রাধিক লোক এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার থেকে শুধুমাত্র জরুরী বিভাগ ছাড়া সব ধরণের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে চিকিৎসকেরা।

এলাকাবাসী জানায়, গত ১৪ মে তারিখে টুঙ্গিপাড়া মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মনা ভারতী (২২) হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে খাদিজাতুল কোবরা নাম ধারণ করে। তিনি অসুস্থ হয়ে গত ১৯ মে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন।

আজ শুক্রবার সকালে নার্স কাকতি তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় ভর্ৎসনা করে একটি ইনজেকশন পুশ করলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান এ ঘটনা দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে সহস্রাধিক এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে জড়ো হয় এবং এক-পর্যায়ে তারা ব্যাপক তান্ডব চালায়। ঘন্টাব্যাপী এ তান্ডবে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নীচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত জানালা-দরজা, টেবিল-চেয়ার ও অন্যান্য আসবাবপত্র তচনছ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে টিয়ার-সেল ও রাবার-বুলেট নিক্ষেপ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময় ডাঃ পবিত্র কুমার কুন্ডু, নার্স কাকতি লতা পাল ও এক পুলিশ-সদস্যসহ অন্ত:ত ৪০ জন আহত হয়েছে।

এ ঘটনার পরপরই টুঙ্গিপাড়া বাজার এলাকার সকল দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায় ও ভর্তি অন্যান্য রোগীরা দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে যায়।ঘটনার খবর পেয়ে পরে জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।এদিকে এ ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলে উল্লেখ করে বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ আবিদ হোসেন বলেছেন, শনিবার থেকে শুধুমাত্র জরুরী বিভাগ ছাড়া সব ধরণের চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে, পুলিশ সুপার বলেছেন, হামলা চালিয়ে সরকারী সম্পত্তি ও কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করা হহয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।