04-06-15-PM_Parliament-10

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ জুন: ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ শতাংশ।এছাড়া, মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় সংসদে শুরু হওয়া বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য দেন।অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, রাজস্ব ও মুদ্রানীতির সমন্বয় এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। সরবরাহের দিক থেকে শিল্প ও সেবা খাত এবং চাহিদার দিক থেকে ব্যক্তি খাতের ভোগ ব্যয় এবং ব্যক্তি ও সরকারি খাতের বিনিয়োগ ব্যয় হবে এই প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারিনি। তার পরও বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মধ্যে আমরা অন্যতম।মুহিত আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। আশা করছি ২০১৮ সালে দেশ থেকে অতিদরিদ্র বিতাড়িত করবো। বর্তমানে আমাদের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৭ বছর। এখন আমাদের রিজার্ভ রয়েছে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ।২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫১ ভাগ। জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ।লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ সালের সম্পূরক ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য দেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। দশম জাতীয় সংসদে এটি তার পেশ করা দ্বিতীয় বাজেট।অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ পণ্যমূল্য হ্রাস, সন্তোষজনক কৃষি উৎপাদন, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ পরিস্থিতির ধারাবাহিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্ক মুদ্রানীতির প্রভাবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি আরও কমে আসবে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, পাশাপাশি বাজেটের ঘাটতি অতীতের মতো জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি।২০১৪-১৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ছিলো ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। সরকারি চাকুরেদের জন্য শুধু নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নই নয়, তাদের কল্যাণার্থে তাদেরই নিজস্ব মালিকানায় তফসিলি ব্যাংকের আদলে সমৃদ্ধি সোপান ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন দিয়ে ব্যাংকটির যাত্রা শুরুর চিন্তাভাবনা আছে। আর এ পরিশোধিত মূলধন বিদ্যমান চাকরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্তগণকে প্রাইমারি শেয়ার প্রদান করে সংগ্রহ করা হবে। তবে এ বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।

১ জুলাই’২০১৫ থেকে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন করার ঘোষণাও দেন অর্থমন্ত্রী।একইভাবে ব্যাংকিং খাতের প্রচলিত কার্যক্রম এবং এই খাতের সার্বিক অবস্থান মূল্যায়ন ও বিবেচনা করার জন্য ব্যাংকেং কমিশন গঠনের চিন্তা ভাবনা সরকারের রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৪-১৫ সালের সম্পূরক ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতা দিচ্ছেন।২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য দেশের এ যাবতকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ২ লাখ ৯৫ হাজার ১শ কোটি টাকা।