13-06-15-Kalapara-1

দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া, ১৩ জুন: পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহনের প্রেক্ষিতে ভূমি মালিক ও তাদের বাড়িঘর গাছপালার ক্ষতিপুরনের চেক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। নিশানবাড়িয়া মাছুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসভায় ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যুত বিভাগের যুগ্ন সচিব একেএম হুমায়ুন কবির, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম, প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, পৌর মেয়র এসএম রাকিবুল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম আজিমুল হক প্রমুখ। সভা শেষে ৫৫জনকে বাড়িঘর গাছপালার এবং একজন ভূমি মালিককে অধিগ্রহণের চেক প্রদান করা হয়।

এসময় প্রকল্প এলাকার লোকজন অধিগ্রহনে বাড়িঘরের ক্ষতিপুরন নির্ধারনে অনিয়ম, জমির মূল্য কম নির্ধারণ, মাঠ পর্যায়ে চেক প্রদান করা, ভূমি অফিসের হয়রানি, দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ, এবছর বর্ষা মৌসুমে প্রকল্প এলাকার বাড়িঘরে থাকতে দেয়া, কৃষিজমি চাষাবাদের সুযোগ, বাড়িঘর যাদের অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাদেরকে দ্রুত পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া উত্থাপন করে।

পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের মধুপাড়া, নিশানবাড়িয়া ও চরনিশানবাড়িয়া তিনটি মৌজার ১০০২ একর জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি এ আওতায় রয়েছে তাদের ঘরবাড়ি, পুকুর, গাছপালা বাবদ ক্ষতিপুরনের টাকা প্রদান শুরু হয়েছে। ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে এ বছরের ২১ মার্চ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) বাংলাদেশ এবং চীনের যৌথ উদ্যোগে কলাপাড়ায় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। দুই বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুত প্রকল্পটিতে বাংলদেশ এবং চীন যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে।

উল্লেখ্য, আলট্র সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রায় একহাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন করা বাবদ ল্যান্ড অ্যাকুইজেশন, ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্রটেকশন ফর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পের মো ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ২১ অক্টোবর একনেক বৈঠকে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।