দৈনিকবার্তা-চরফ্যাশন, ১ জুলাই: চরফ্যাশন. ভোলার চরফ্যাশন অগ্রণী ব্যাংক শাখায় ৬৭ জন শিক্ষকদের মাঝে ভোগ্যপন্য (কনজুমার) ঋণ ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে ১ কোটি ৩৪লাখ টাকা বিতরণের পর সমুদয় টাকা অনাদায়ী থাকায় দুলারহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজের এমএলএসএস আবুল বাশার দুলারহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মাওলানা মো. ওয়ালিউল¬াহ ,পুর্ব ফরিদাবাদ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মো. আবুল কাশেম. দক্ষিণ মোহাম্মদপুর রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মো. ফারুকুল ইসলাম. ুুচর নাজিমউদ্দিন মাদ্রাসার রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে চরফ্যাশন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এবং ৩৪ জনের বিরুদ্ধে চেক ডিজ অনার মামলার প্রস্তুতি চলছে এছাড়া ৬৭ জন শিক্ষককে উকিল নোটিশ প্রদান করেছে বলে ব্যাংক সুত্র জানিয়েছেন। ব্যাংকের অনাদায়ী টাকা আদায় ও বিতরনকালীন ক্রটি তদন্তে গত সোমবার সকালে ভোলা অগ্রনী ব্যাংকের এজিএম আশুতোষ চন্দ্র সিকদার চরফ্যাশন শাখায় এসে কয়েকজন শিক্ষকের সাথে বৈঠক ও করেছেন।
শিক্ষকদের সূত্র মতে, উক্ত ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান। অগ্রনী ব্যাংকের এজিএম আশুতোষ চন্দ্র সিকদার’র সামনে জনৈক ঋণ গ্রহীতা জানান, অগ্রণী ব্যাংক চরফ্যাশন শাখার সাবেক ব্যাবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে লাখ প্রতি ৯ হাজার টাকা হারে সুবিধা গ্রহণ করে ৬৭জন শিক্ষকের কাছ থেকে ঋনের বাবদ ১২লাখ ৬হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে এমএলএসএস, সহকারী এবতেদায়ী মৌলভী, জুনিয়র শিক্ষক সহ অসামর্থবান শিক্ষকদের ঋণ করেছেন ।লোনের টাকা পরিশোধের জন্য উকিল নোটিশ প্রাপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক মাদ্রাসা শিক্ষক জানান, মানবেতর জীবনযাপনের কারনে টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। এই ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংক বর্তমান ব্যবস্থাপক গণেশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, সাবেক ব্যাবস্থাপকের সাথে ব্যক্তিগত কোন লেন- দেন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ভোলা অগ্রণী ব্যাংক এজিএম আশুতোষ চন্দ্র সিকদার জানান, ঋণ গ্রহণকারী শিক্ষকরা ঘুষ দিয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। এক পক্ষের বক্তব্য শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায়না। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।