দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০১৫: ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নজিরবিহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে। গত সাড়ে ছয় মাসে অন্তত ৬৯৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে রক্ষণশীল দেশটিতে।গত বছর সেখানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ৭৪৩ জনের।বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।অ্যামনেস্টির হিসাব মতে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইরানে ৬৯৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য খবর রয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা এভাবে বেড়ে যাওয়াটা নজিরবিহীন।আগের বছরের তুলনায় গত বছরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যাটা অনেক বেশি ছিল, ৭৪৩। এবার গত বছরকেও নজিরবিহীনভাবে অতিক্রম করছে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা। মাত্র সাড়ে ছয় মাসেই ৬৯৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় অনুমান করা যাচ্ছে, বছর শেষে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এ সংখ্যা।অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টা অনেক বেশি উদ্বেগজনক। ইরানের আদালতগুলো পক্ষপাত ও প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে রায় দিতে পারে না। সামান্য গালিগালাজ থেকে শুরু করে অনেক বড় অপরাধ- সবক্ষেত্রেই দোষী সাব্যস্ত করে নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এমনকি যেটাকে অপরাধের আওতায়ও ফেলা যায় না, সেটাকেও অপরাধ গণ্য করে অভিযুক্তকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ইরানের বিচার ব্যবস্থা অনেক বেশি ভ্রান্ত। আটক ব্যক্তিদের প্রায়ই আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয় না, অথবা নিয়োগ দেওয়া হলেও তাদের সঙ্গে আলাপের সুযোগ দেওয়া হয় না। এছাড়া, রায়ের আপিল, ক্ষমা প্রার্থনা ও শাস্তি লঘুকরণের বিষয়গুলোও ত্রুটিমুক্ত নয়।যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাদের মধ্যে বিরোধী রাজনীতিক থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ী বা আসক্ত সবাই রয়েছেন। রয়েছেন অনেক নারী-কিশোর-কিশোরীও।তবে, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অ্যামনেস্টির এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইরান সরকার।