04-08-15-PM_ECNEN Meeting-3

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ আগস্ট ২০১৫: বিলুপ্ত হওয়া ছিটমহলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।পরে সভা শেষে সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পর অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন পর্যায়ক্রমে করা হবে।সভায় ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ৯টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল ২ হাজার ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৩২ কোটি ১৩ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ৯৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা।মুস্তফা কামাল বলেন, ৯টি প্রকল্পের মধ্যে রূপগঞ্জে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণে ৭৯৬ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে।এছাড়া জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার আগের চেয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৩৬% বলেনও জানান মন্ত্রী।ঢাকা: তিন মাসের মধ্যে ছিটমহল থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হওয়া এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই সংযোগের কাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থা করে সাময়িকভাবে সেখানে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণেরও নির্দেশনা দেন তিনি।সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় উল্লাস করেছে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সাবেক ছিটমহলবাসী। তারা এখন আমাদেরই অংশ। তাদের তিন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে অনুযায়ী আমরা এখন কাজ করবো।

এদিকে, মঙ্গলবারের সভায় বর্তমানে যেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে সচিবালয় স্থানান্তরের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়।এক্ষেত্রে বাণিজ্য মেলার জন্য নতুন স্থান নির্ধারণ করা হবে পূর্বাচলে।পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মেলা স্থানান্তরের জন্য চীন অনুদান দিচ্ছে। পূর্বাচলে আধুনিকমানের মেলার জন্য স্থায়ীভাবে স্থান তৈরি করা হবে। সেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য স্থাপন করা হবে একটি প্লাটফরম। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের কেনাকাটার কারণে জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ; আগের মাস জুনে যা ছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।বুধবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাতেই জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, ঈদে ছোট-বড় সবার জন্য কাপড় কেনা-কাটার কারণে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখি হয়েছে। এ কারণে জুলাই মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তবে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়নি। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়ায় সাধারণ মূল্যস্ফীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে।বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, খাদ্যপণ্যে জুন মাসের চেয়ে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখি হয়েছে। জুনে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। জুলাইয়ে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে। পরিধেয় বস্ত্র, প্রসাধনী, জুতা, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালী, আসবাবপত্র, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখি।ফলে খাদ্য বহির্ভূত খাতে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।বিবিএস-এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, মাছ, মাংস, শাক-সবজি, মসলা, ফল, দুধ জাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে কমেছে।হালনাগাদ তথ্যে আরো দেখা যায়, গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। জুনে যা ছিল ৫ দশমিক ৯০ ভাগ, জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ ভাগ। অন্যদিকে শহর পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার জুন মাসে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ ছিল। জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশে।