দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ৫ আগস্ট, ২০১৫: মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রায় ৫ শ’ অটোরিক্সা চালক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন শুরু করেছে। ১ লা আগস্ট থেকে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল করা বন্ধ করে দেওয়া পরিবারের খরচ যোগান দিতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে অটোরিক্সা চালকরা।
এদিকে গত সোমবার মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচলের দাবিতে এ উপজেলার অটোরিক্সা চালক ও মালিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট যোগাযোগ মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, এ উপজেলা ৫শ’ এর বেশী পরিবার অটোরিক্সা উপর নির্ভরশীল। অটোরিক্সা চালিয়ে চলতো তাদের জীবন জীবিকা। হঠাৎ করে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার গুলোর উপর পড়ে বজ্রাঘাত।
অন্য দিকে সিটিকর্পোরেশন ও পৌরসভা গুলো অটোরিক্সা চলাচলের জন্য লাইসেন্স প্রদান করে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছিল। অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান গুলো। এছাড়াও বিপাকে পড়েছে বেসরকারী সংস্থা এনজিও গুলো ঋণের টাকা আদায় নিয়ে। অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঋণের কিস্তির টাকা দিতে পারছেনা অটোরিক্সা চালকরা।
উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের অটোরিক্সা চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন মুরগীর খামার করে সংসার চালাতাম। সর্বনাশা ঝড়ে খামার উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং খামারের সব মুরগী মারা গিয়ে আমি সর্বসান্ত হয়ে পথে বসে ছিলাম। ঋণ নিয়ে অটোরিক্সা কিনে তা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতাম। মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে আছি। ঠিকমত দুবেলা খাবার জুটছেনা। কিস্তির টাকা দেওয়াতো দুরের কথা।
অটোরিক্সা চালক হিটলার বলেন বিএ পাশ করে কোন চাকরী মিলেনি। তাই কর্মসংস্থানের জন্য অটোরিক্সা চালানোর পথ বেচে নিয়ে ছিলাম। বেকারত্বর জীবন থেকে মুক্তি মিলেছিল। এখন আবার সেই বেকারত্বর যন্ত্রনা দায়ক জীবন । অটোরিক্সা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন এমএ পড়ছি। অটোরিক্সা চালিয়ে লেখা পড়ার খরচ যোগায়। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। হয়ত অর্থের অভাবে লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচলের সু-ব্যাবস্থা করতে অটোরিক্সা চালক ও মালিকরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে।