দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ৫ আগস্ট, ২০১৫: রাজশাহী মহানগরীতে আবাসিক হোটেল সুর্যমুখী এখন মিনি সেক্স কর্নার! দীর্ঘদিন যাবত নগরীর প্রাণ কেন্দ্র ব্যস্ততম এলাকা সহেববাজার বড় মসজিদের পার্শে আবাসিক হোটেল সুর্যমুখীতে প্রকাশ্য চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। দাপটের সাথে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকার কিছু ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা অভিযোগ করেন। রাজশাহী মহানগরীর পতিতা ব্যাবসায়ীর গডফাদার মনিরের খপ্পরে পরে পতিতা ব্যাবসায় নামতে বাধ্য হয়েছে অসহায় অনেক যুবতী।
মনিরের খপ্পরে পড়ে নিঃশ্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেক যুবক। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর সহেববাজার বড় মসজিদের পাশে আবাসিক হোটেল সুর্যমুখীর কেয়ার টেকার মনির দীর্ঘ দিন যাবত যুবতীদের দিয়ে আবাসিক হোটেল সুর্যমুখী সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে রমরমা ভাবে পতিতা ব্যাবসা করছে। গোপন এটি সূত্রে জানা গেছে, মনিরের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে অনেক যুবতী, তার কথা না শুনলে ভয়ভীতি দেখায়। অশ্রুশিক্ত চোখে কয়েক জন পতিতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এখন রক্ষিতা আর পতিতার পরিচয় নিয়ে বেঁচে আছি। আমরা এ জীবন থেকে মুক্তি চাই। পতিতা ব্যাবসায়ী মনিরের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
সুত্রে জানা যায়, আবাসিক হোটেল সুর্যমুখীর তৃতীয় তালায় ২৬ নম্বর রুমটিতে দিনের বেলায় মেয়েদের রাখা হয়। আর রাতে রাখা হয় ১০,১২,১৪,১৮ নম্বর রুমে। মনির শহরের আবাসিক হোটেল এবং নারী পিপাসু ব্যাক্তিদের কাছে সুন্দরী নারীদের জিম্মি করে সরবরহ করে থাকেন। রাত গভীর হলে বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে তাদের গন্তব্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়। মনিরের অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে ভয়ে কেউ কিছু বলে না। তার এসকল অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসিয়ে দেয় তাদের লাঞ্চিত করে থাকেন।
তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তিকে মাসিক মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা চালাচ্ছে বলে প্রশাসনেরও কোন মাথা ব্যথা নাই এ ব্যাপারে।