1445420993

দৈনিকবার্তা-সিলেট, ২১ অক্টোবর ২০১৫: সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের উপস্থিতিতে আবার ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়েছে৷ বুধবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুপুর ১২টা থেকে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়৷ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী এ কথা জানান৷মঙ্গলবার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আসামিদের নাম ও ঠিকানা পরীক্ষার ধার্য তারিখে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা মামলার ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য আবার নেওয়ার আবেদন করেন৷ আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়টি মঞ্জুর করেন৷ এই ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া দুই বিচারিক হাকিম, বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যসহ রাজনের বাবা, মা ও এক চাচা রয়েছেন৷

আদালত সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই রাজন হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে পালিয়ে যান৷ ১৫ অক্টোবর তাঁকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়৷ মহানগর দায়রা জজ আদালতে সর্বশেষ পর্যায়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন গত রোববার কামরুলকে অন্য আসামিদের সঙ্গে প্রথম আদালতে তোলা হয়৷ ওই দিনই কামরুলের আইনজীবী সব সাক্ষীকে রি-কল করার আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন৷গত ৮ জুলাই রাজনকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়৷ সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামের বাসিন্দা শিশু রাজন সবজি বিক্রি করত৷ তার লাশ গুম করার সময় ধরা পড়েন একজন৷ এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা বলে অভিযোগ ওঠা কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে যান৷ পরে ইন্টারপোলের সহায়তায় তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়৷