দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল), ২৭ নভেম্বর ২০১৫: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রাস পূনির্মায় লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পন্ড। মন্দির ভাংচুর মহিলা সহ আহত ৬ জন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আটক বানিজ্যের। সংশ্লিষ্ট সুত্র ও সরজমিন জানাগেছে গত ২৫ নভেম্বর বুধবার রাস পূর্নিমায় উপজেলার পূর্ব পয়সা গ্রামের বঙ্কিম হালদারের বাড়ীতে সার্বজনীন লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। চলমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বসাবসির অযুহাত দেখিয়ে ও মহিলাদের কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করে স্থানীয় আক্কাচ দেওয়ানের ছেলে পলাশ দেওয়ান ওরফে তুমল (২৮) এর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা অনুষ্ঠান স্থলে আলোকসজ্জার বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ফেলে হুলস্থুল কান্ড ঘটিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়।
এ সময় প্রবেশ পথের সাজানো গেট ও অস্থায়ী লক্ষ্মী মন্দির ভাংচুর করে ওই বাহিনী। পরের দিন বৃহস্পতিবার হামলাকারীরা হালদার বাড়ীর সামনে এসে কুটুক্তি করে ঊলুদেয় ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করলে ওই বাড়ীর যুধীষ্টি হালদারের ছেলে জুরান হালদার প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর শুরু করে হামলাকারীরা। এসময় তার স্ত্রী সীমা রানি স্বামীকে রক্ষা করতে আসলে সেও হামলা থেকে রেহাই পায়নি। এক পর্যায়ে ঐ বাড়ীর কাজল রানী, প্রতিভা হালদার, যুথিকা রানী, পাপন হালদার দুর্বৃত্তদের হাতে মারধরে আহত হয় । এঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বশার হাওলাদার বাদশা, ফিরোজ শিকদার, জব্বার তালুকদার, আলমগীর খন্দকার, জুয়েল তালুকদার, জেবারুল খন্দকারসহ স্থানীয়রা সালিশ ব্যবস্থার আয়োজন করলে একপর্যায়ে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সাথে জড়িত পলাশ দেওয়ান ওরফে তুমুল (২৮), মাইনুল খান (২৪), সবুজ দেওয়ান (২০) অলিত তালুকদার (২৫) রেজাউল খন্দকার (১৮), রনি তালুকদার (২০), শরিফুল তালকুদার সহ ৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
রাতেই সরকার দলীয় কয়েক নেতার তদবিরে আটককৃতদের থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। দুই দফা হামলা ভাংচুরের ঘটনার পর হালদার বাড়ীর শতাধিক লোকজন ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে জড়িতদের থানায় আটক করে জামাই আদরে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে দেখা দিয়াছে অজানা আতঙ্ক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগিরা বলেন হামলাকারি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে আমাদের সব কিছু ফেলে জীবন নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। তারা এ ঘটনার জন্য সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (এমপি) সহ প্রশাসনের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংগঠনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দেওয়ার তাদের ছেড়ে দিয়েছি।