2015-11-28_0_622968

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০১৫: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরকে সম্পদে পরিণত করতে তাদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।এ উপলক্ষে শনিবার কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘কারিগরি শিক্ষায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সংযুক্তি’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট এন্ড প্রোডাক্টিভিটি (বি-সেপ) প্রজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডর পরিচালক মো: আলমগীর হোসেন, মো: ফেরদৌস আলম, বাবর আলী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী, আইএলও প্রতিনিধি প্রমুখ বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ও ৬৩টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এদের অনেকের মধ্যে বিশেষ মেধা ও প্রতিভা রয়েছে। সেটি খুঁজে বের করে তাদেরকে দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা বলেন, এটি প্রযুক্তি ও কারিগরির যুগ। সরকার কারিগরি শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ২০২০ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০%-এ উন্নীত করার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে।তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ইতিমধ্যে ১৩.৪৭%এ উন্নীত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকার নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ব্যবস্থায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করা হবে। তাদের জন্য উপযোগিতা বিবেচনা করে বিশেষ বিশেষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে তাদেরকে সক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে কারিগরি শিক্ষার ভর্তি নীতিমালায় তাদের জন্য ৫% কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে র‌্যাম্প (বিশেষ সিড়ি), প্রবেশগম্য টয়লেট, ক্লাসরুম, ব্রেইল বই, ইশারা ভাষা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে। এসব শিক্ষার্থীর প্রতি করুনা নয়, সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকাতে হবে। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এর বার্ষিক বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।