bank

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫: অপ্রচলনযোগ্য নোট জমাদানের ক্ষেত্রে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সর্তক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সর্তকতা না মানলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শাস্তি দেয়ারও হুমকি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য এবং মিউটিলেটেড নোটগুলোকে তিনভাগে বিভক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে। কোনো ব্যাংক এই নির্দেশনা পরিপালন না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে অর্থদণ্ডে দাণ্ডিত করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টিতে নোট জমাদানকালে যথাযথভাবে সর্টিং (যাচাই-বাছাই) করে জমাদানের নির্দেশনা দিয়ে একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কিন্তু জারিকৃত প্রজ্ঞাপণের নির্দেশনাসমূহ অধিকাংশ ব্যাংক মানছে না।বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে অপ্রচলনযোগ্য নোটের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। বৈশিষ্ট্য গুলো হচ্ছে, অত্যধিক ময়লাযুক্ত নোট, নোটের উপর একাধিক সীল লাগানো, নোটের উপর অপ্রয়োজনীয় লেখা বা দাগ, নোটে মরিচার চিহ্ন থাকা এবং নোটে অল্প রং লাগানো।

মিউটিলেটেড নোটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, টেপযুক্ত নোট অথবা দুই খন্ডে খন্ডিত নোট অথবা নোটের কোনো অংশ অনুপস্থিত এবং অনুপস্থিতির পরিমাণ নোটের আয়তনের ১০ শতাংশের কম। দাবীযোগ্য নোটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, দুই এর অধিক খণ্ডে খণ্ডিত নোট, নোটের কোনো অংশ অনুপস্থিত এবং অনুপস্থিতির পরিমাণ নোটের আয়তনের ১০ শতাংশের বেশী, আগুনে পোড়া বা আগুনের আঁচ লাগানো নোট, ড্যাম্প নোট এবং নোটে বেশী রং লাগানো।