শেরপুর সীমান্তে মাটি খুঁড়ে ৪১ হাজার গুলি উদ্ধার

দৈনিকবার্তা-শেরপুর,১ফেব্র“য়ারি,২০১৬ :শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি সীমান্তে পাহাড়ি এলাকায় মাটি খুঁড়ে এসএমজি ও এলএমজির প্রায় ৪১ হাজার গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫ সদস্যরা। সোমবার সকাল ৮টার দিকে ভুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় শুরু হয় র‌্যাবের ওই অভিযান। দুপুরের দিকে এসব গুলি উদ্ধার করা হয়। সোমবার ভোর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা অভিযান এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম। বিকেলে র‌্যাবের মিডিয়া উইং কমান্ডার মুক্তি মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী চেংবেড় এলাকার গহীন বনে পাহাড় খুঁড়ে মেশিন গানের ২২ হাজার, এসএমজির ১৭ হাজার, প্লেন বিধ্বংসী দুই হাজারসহ আরো চার হাজার গুলি ও বিস্ফোরক, একটি একে-৪৭ রাইফেল, দু’টি ভারী মেশিন গান, প্লেন বিধ্বংসী মেশিন গান, দু’টি পিস্তল ও দু’টি এসএলআর উদ্ধার করা হয়েছে।নালিতাবাড়ী সীমান্তে বুরুঙ্গা কালিপানি এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় মাটি খুঁড়ে বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার কাজ বিকেল পর্যন্ত চলে। সকাল থেকে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ২২ হাজার মেশিন গানের গুলি, এলএমজির ১৭ হাজার গুলি, বিমান বিধ্বংসী (এন্টি এয়ারক্রাফট) দুই হাজার গুলি, ম্যাগাজিন ৩৭টি, ওয়াকিটকি ৬টি, বন্দুক পরিষ্কারের যন্ত্র ৮টি, ১২ ভোল্টের ওয়ারলেস চার্জার ২টি উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা।সোমবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়ারীশ বিডিনিউজ জানান, র‌্যাব-৫ এর একটি দল সকাল ৮টার দিকে ভুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় ওই অভিযান শুরু করে।

অভিযান এখনও চলছে। দুপুর পর্যন্ত মেশিনগানের গুলি ২২ হাজার, এলএমজির গুলি ১৭ হাজার, এন্টি এয়ারক্রাফট এমুনিশন দুই হাজার, ম্যাগজিন ৩৭টি, ওয়াকিটকি ছয়টি, বন্দুক পরিষ্কারের যন্ত্র আটটি, ওয়্যারলেস চার্জার দুইটিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।তবে এসব গুলি কারা সেখানে রেখেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৫০ হাজার গুলি, রকেট, মাইন ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়। ২০১২ সালে নালিতাবাড়ির এক গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি।মাইন উদ্ধারের পর ২০১০ সালে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সেগুলো ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী অসম’ বা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফার) এর ফেলে যাওয়া গোলাবারুদ বলে ধারণা করছে তারা।