yaba03022016-doinikbarta

দৈনিকবার্তা-কক্সবাজার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে সাত লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব।মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই অভিযানে ট্রলার থেকে মিয়ানমারের এক নাগরিকসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে কক্সবাজার সদর থেকে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও একজনকে।র‌্যাবের দাবি, এই মাদক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে ইয়াবা এসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম হয়ে দেশের ভিতরে ছড়িয়ে দিচ্ছে।র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এসএম সাউদ হোসেন বলেন, এফবি মায়ের দোয়া নামের ওই ট্রলারে করে মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক ইয়াবা নিয়ে আসার খবর পেয়ে গভীর সমুদ্রে অভিযান চালানো হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাউদ বলেন, ট্রলারের চালককে থামার সংকেত দেওয়া হলে সে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে ট্রলারটি আটক করা হয়।র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আমিরুল্লা জানান, ট্রলারের কোল্ড স্টোরে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাত লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়। ট্রলার থেকে আটক করা হয় ছয় জনকে।আটকদের মধ্যে মো. যোবায়ের (৪২) মিয়ানমারের মংডু জেলার সুতাহরা গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে।আর আব্দুর রহিম (১৮), আশেক উল্যাহ (১৯), সামসুল আলম (২৫), মো. হাসান (২০) ও মো. ইউনুস (৫৫) কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এস এম সাউদ জানান, আটক ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ কলাতলি এলাকার মোহাম্মদ মুফিজ নামের এক ব্যক্তির তথ্য পান, যিনি গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে আটক ১০ লাখ ইয়াবা পাচারের হোতা বলেও সন্দেহ করা হয়।বুধবার সকালে মুফিজের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব। ওই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মুফিজের ইয়াবাচক্রের সহযোগী আব্দুর রশিদকে।সাগর পথে ইয়াবা পাচার চক্রের হোতা মুফিজকে আটক করার চেষ্টা চলছে। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, বলেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাউদ।এএসপি আমিরুল্লা জানান, উদ্ধার ইয়াবার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।