????????????????????????????????????

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য রয়েছে। এমনকি এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও সমর্থন রয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার লিকোলায়েভ।

রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিন ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬৫ কোটি ডলার বা ১ লাখ এক হাজার কোটি টাকা। চুক্তি অনুসারে ১২০০ করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করবে রাশিয়া।
তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, চুক্তিতে যে ব্যয় ধরা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে নিরূপণ করা ব্যয়ের প্রায় তিনগুণ। এর কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়নি সরকার।
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার বলেন, তিন বছর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাতে তিনি জানিয়েছিলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিএনপি উদ্যোগ নিয়েছিল। এর অর্থ হলো, বিএনপি ও খালেদা জিয়ার এ বিষয়ে সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন মহলে যে ভয় কাজ করছে তা মূলত অজ্ঞতার কারণেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানলে আশা করি, এ ভয় দূর হবে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে রূপপুরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চলতি বছর অাগস্ট মাসে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় কোম্পানি গঠন করতে সংসদে বিল পাস হয়।
আইন অনুযায়ী, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানা থাকবে বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের হাতে। আর কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব পাবে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ’। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘লাইফ টাইম’ হচ্ছে ৫০ বছর। এর প্রথম ইউনিট ২০২১ সালের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে বলে সরকার আশা করছে।
১৯৬১ সালে পরামাণু কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার পর ১৯৬৩ সালে প্রস্তাবিত ১২টি এলাকার মধ্য থেকে বেছে নেয়া হয় রূপপুরকে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের প্রধান বিবেচ্য বিষয় অ্যানার্জি সেক্টরের উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিক্যাব সভাপতি আঙুর নাহার মন্টি, সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান প্রমুখ।