09-05-16-Central Jail_Tide Security-1

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর সাজা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপির অনুলিপি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কেশব রায়ের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা মেট্রো-চ ৫৩-৮১২১ নম্বরের একটি গাড়িতে করে রায়ের অনুলিপি নিয়ে কারাগারে প্রবেশ করেন ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল। পরে তাদের কাছ থেকে এ রায়ের কপি গ্রহণ করেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গির কবীর। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান কারারক্ষী শফিকুর রহমান।এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু আগে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের অনুলিপি নিয়ে কারাগারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রতিনিধিদল। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী রায় পড়ে শোনানোর পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। নিজামী ক্ষমা না চাইলে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এদিকে সোমবার (০৯ মে) একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর সেটি ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে রায়ের কপি এখন কেন্দ্রীয় কারাগারে।এরআগে একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর সেটি ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে রায়ের কপি যাবে কারাগারে। যদি রাষ্ট্রপতির কাছে নিজামী ক্ষমা না চান, তবে যেকোনো দিন ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, র‌্যাব, পুলিশ ও কারারক্ষীদের সমন্বয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকের বাইরে দুই স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে এ নিরাপত্তা বলয় দৃশ্যমান হয় বলে স্থানীয়রা জানান। তবে পুলিশ বলছে এটা তাদের নিয়োমিত ডিউটির অংশ।পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মফিজ উদ্দিন আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামি আদালতে নেয়া এবং আদালত থেকে আসামিদের কারাগারে প্রবেশ করানোর সময় প্রতিদিনই এমন নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। এটা নতুন কিছু নয়।

এর আগে রোববার মধ্যরাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে এই কারাগারে আনা হয়েছে। এসময়ই থেকেই মূলত নাজিমুদ্দিন রোডে অতিরিক্ত পুলিশের আনাগোনা দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

এখন এই রায় ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পাঠানো হবে কারাগারে। ফাঁসির আসামি নিজামীকে রায় পড়ে শুনিয়ে জানতে চাওয়া হবে, তিনি নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না।আদালতের সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় একাত্তরের বদরপ্রধান নিজামীর সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি। আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী জানান, বিচারকদের সইয়ের পর সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার আগে মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ করা হয়।নিয়ম অনুযায়ী এই রায় এখন আমরা বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেব।এর আগে গত ৫ মে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ নিজামীর আবেদন খারিজ করে দেয়। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ গত ৬ জানুয়ারি নিজামীর আপিলের রায় ঘোষণা করে। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া প্রাণদণ্ডের সাজাই তাতে বহাল থাকে।জামায়াত আমির নিজামী একাত্তরে ছিলেন দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল বদর বাহিনীর প্রধান।তার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বেই যে আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল- এই মামলার বিচারে তা প্রমাণিত হয়।

সুপ্রিম কোর্ট ১৫ মার্চ আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করলে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে, পর দিন তা পড়ে শোনানো হয় যুদ্ধাপরাধী নিজামীকে।রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় রোববার রাতে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
দণ্ড কার্যকরের আগে যুদ্ধাপরাধী নিজামীর শেষ আইনি সুযোগ ছিল রিভিউ আবেদন। তা খারিজের মধ্য দিয়ে আইনি লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি হয়েছে। এখন সংবিধানের ৪৯ অনু্চ্েছদ অনুসারে শেষ সুযোগে দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন।আসামি তা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে সরকার দিনক্ষণ ঠিক করে কারা কর্তৃপক্ষকে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশ দেবে। তার আগে স্বজনেরা কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারবেন।রিভিউ খারিজের পর এরইমধ্যে স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা কাশিমপুরে গিয়ে নিজামীর সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ করেছেন। তবে সে সময় তারা ক্ষমা ভিক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এর আগে জানিয়েছেন, রিভিউয়ের রায় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে। দিন তারিখ ঠিক করবে সরকার এবং দণ্ড কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।

তবে এর আগে নিজামী যদি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করতে চান সে সুযোগ তিনি পাবেন। তাকে সেটি জানানো হবে।একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝোলানো হয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে।আর ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কারা কর্তৃপক্ষ।

তাদের দুজনের রিভিউ আবেদন একদিনের মধ্যে শুনানি শেষে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাননি বলে সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়, পরে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

এরপর জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় একই দিনে, গতবছর ২১ নভেম্বর। তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেও রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দেন বলে সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।এর বাইরে যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামিদের মধ্যে কেবল জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় এসেছে আপিল বিভাগে। ট্রাইব্যুনালে তাকে দেওয়া সর্বোচ্চ সাজার রায় কমিয়ে আপিল বিভাগ আমৃত্যু কারাদণ্ডের যে রায় দিয়েছে, তার রিভিউ চেয়েছে দুই পক্ষই।

নিজামীর দল জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিজামী তার স্বজনদের জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন না। আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে নিজামীকে ফাঁসির রশিতে ঝুলাতে আইনত আর কোনো বাধা থাকবে না।গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এক শব্দের এই রায় ঘোষণা করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় এজলাসে এসে প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, ডিসমিসড।রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এবার শুরু হবে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া। নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ খারিজের রায়ের অনুলিপি কারাগারে যাবে। তবে রিভিউ আবেদনে রায় বহাল থাকায় কারাবিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে পারবেন নিজামী। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পর রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করা না করার উপর সিদ্ধান্ত হবে। তবে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা নাকচ করলে আসামির দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে এখনো এই একটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।রাষ্ট্রেও প্রধান আইন কর্মকতা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, নিজামীর মামলায় সব নিয়ম অনুসরণ করা হবে। রিভিউ খারিজ হওয়ায় এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এ ক্ষেত্রে তাকে সে সুযোগ দেয়া হবে।

এদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিজামীকে রোববার (০৮মে) রাতে কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আনা হয়েছে।গাজীপুরের কাশিমপুর-২ কারাগারের ৪০ নম্বর কনডেম সেলে বন্দি নিজামীকে নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।কারা কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আইনী পদক্ষেপসমূহ দ্রুত সম্পন্ন করার উদ্দেশেই জামায়াতের আমিরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থান্তান্তর করা হয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এরই মধ্যে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিজামীর রায় কার্যকরই হতে পারে নতুন কারাগারের প্রথম ফাঁসি। তবে কোনো কারণে সেখানে ফাঁসির মঞ্চের সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন না হলে বেছে নেওয়া হতে পারে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের ফাঁসির মঞ্চেই তার দণ্ড কার্যকর করা হবে। তবে কাশিমপুর কারাগার থেকে কেরানীগঞ্চে না নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়ায় সেখানেই ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠেছে।নিজামীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি চুড়ান্ত রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করেন দেশের এই সর্বোচ্চ আদালত। ওইদিনই আপিল বিভাগের এই রায়ের কপি পেয়ে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

লাল সালুতে মুড়ে এই মৃত্যু পরোয়ানা ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার পর ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকে পরদিন সকালে পরোয়ানা যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।

নিয়ম অনুযায়ী রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু পরোয়ানা হাতে পেয়ে নিজামীকে তা পড়ে শোনানো হয়। ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই শুরু হয় সাজা কার্যকরের প্রস্তুতি।আইন অনুযায়ী রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পান নিজামী। ১৫ দিন শেষ হওয়ার একদিন বাকি থাকতে গত ২৯ মার্চ সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিজামীর আইনজীবীরা রিভিউ আবেদন জমা দেন। ৭০ পৃষ্ঠার মূল রিভিউর আবেদনের সঙ্গে মোট ২২৯ পৃষ্ঠার নথিপত্রে তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৬টি (গ্রাউন্ড) যুক্তি তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য,২০১৪ সালের ২৯অক্টোবর নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

ট্রাইব্যুনালে নিজামীর বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতাসহ আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি আটটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তার করার পর একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী হলেন পঞ্চম যুদ্ধাপরাধী, যার সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকরের পর্যায়ে এসেছে। এটি দ্বিতীয় মামলা, যেখানে বুদ্ধিজীবী হত্যায় দায়ে শেষ বিচারেও আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।