সারাদেশে বজ্রপাতে দুই দিনে নিহত ৫৮

সূর্য-তাপে কী অসহ্য গরমেই না পুড়ছিল সারা দেশ।বৃষ্টি একেবারেই হচ্ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে আকাশ- ভেঙে নামা বৃষ্টি যেন স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুক্রবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ২১ ঘণ্টায় রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ২৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আট ঘণ্টায় এর পরিমাণ ছিল নয় মিলিমিটার। অথচ গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত সাত দিনে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছিল মাত্র ১৩ মিলিমিটার।

এদিকে, বজ্রপাতে শুক্রবার দেশের পাঁচ জেলায় মারা গেছে ৮ জন। দেশের ১৫ জেলায় বজ্রপাতে বৃহস্পতিবার প্রাণ গেছে ৪০ জনের। বজ্রপাতে একদিনে প্রাণহানির এ সংখ্যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। রাজধানী ঢাকাসহ ১৪ জেলায় বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় পাঁচজন করে মারা যান। ঝোড়ো হওয়াসহ এই বৃষ্টি ঢাকা ছাড়াও সব জায়গাতেই হয়েছে। বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে ৫৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজশাহী ও শ্রীমঙ্গলে ৫১, ঈশ্বরদীতে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগের দিন মাত্র এক মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও শুক্রবার সকাল থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে ৬৬ মিলিমিটার। একই সময়ে সীতাকুণ্ডে এর পরিমাণ ছিল ২৫, বগুড়ায় ১৫ ও রংপুরে ১১ মিলিমিটার।তবে ২৪ ঘণ্টায় একেবারেই বৃষ্টি হয়নি পুরো খুলনা বিভাগে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।অবশ্য ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখীর প্রভাবে এ ধরনের বৃষ্টি দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয় না। থেমে থেমে এটি হয়ে থাকে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, ঢাকা সাভারে বজ্রপাতে মন্টু মিয়া (১৯) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হযেছে আরও দু’জন। অন্যদিকে, ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা নয়াচর এলাকায় মনির হোসেন (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে।শুক্রবার (১৩ মে) দুপুরে সাভার পৌর এলাকা ও ধামরাইয়ের বালিয়ায় বজ্রাঘাতে এ দু’জনের মৃত্যু হয়।জয়পুরহাট: জেলার সদর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় পৃথক দুই স্থানে বজ্রপাতে দুই ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টা ও ১০টার দিকে পৃথক বজ্রপাতে এ দুজন মারা যান। নিহতরা হলেন- জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার ঘুগইল গ্রামের আছাদুজ্জামানের ছেলে মানিক হোসেন (৩৫) ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৩)।

শুক্রবার বেলা ১১টায় ক্ষেতলাল উপজেলার ঘুগইল গ্রামের মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মানিক হোসেন নামে এক শ্রমিক মারা যান। এর আগে সকাল ১০টায় একইভাবে মৃত্যু হয় সদর উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদী তীরবর্তী সতিঘাটা এলাকায় আরেক ধানকাটা শ্রমিক আফজাল হোসেনের।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন ও ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বজ্রপাতে এ মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নওগাঁ: জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর দীঘিপাড়া ও মহাদেপুর উপজেলার ধঞ্জইল গ্রামে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বজ্রপাতে এদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন-পোরশা উপজেলার নীতপুর দীঘিপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (১৪) ও মহাদেপুর উপজেলার ধঞ্জইল গ্রামের কৃষক শচীন মুহরি (৫৮)।স্থানীয়রা জানান, সকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় ইব্রাহিম বাড়ির পাশে একটি বাগানে আম কুড়াতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া, মাঠে ফসল দেখতে গিয়ে ধঞ্জইলে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় কৃষক শচীন মুহরির। নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মাহফুজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম: নগরীর হালিশহর থানার ফইল্ল্যাতলী এলাকায় বজ্রপাতে আমজাদ হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী ও হালিশহর-ডবলমুরিং আসনের সরকার দলীয় সাংসদ ডা. আফসারুল আমীনের চাচাতো ভাই বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আবু হামিদ বলেন, সকালে বৃষ্টিপাতের সময় সড়কে অপেক্ষমান হালিশহর ফইল্ল্যাতলী এলাকায় বজ্রপাতে আমজাদ হোসেন মারা যায়।গাইবান্ধা: জেলার সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ মালীবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছেন সিরাজুল ইসলাম। শুক্রবার সকালের দিকে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে সিরাজুল ইসলাম বাড়ির পাশের জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। এসময় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান।মালিবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বজ্রপাতে শাহেদ সোহাগ (২৪) ও নোমান হাসান (২২) নামের দুই তরুণ মারা যান। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেলে বৃষ্টির সময় যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকার বালুর মাঠে ফুটবল খেলছিলেন কয়েকজন তরুণ। হঠাৎ বজ্রপাতে তাঁদের মধ্যে ৮-১০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহেদ ও নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অন্যজনের তাঁর নাম রাইয়ান (১৯)। নিহত শাহেদ আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং নোমান তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়তেন। তাঁদের একজনের বাড়ি যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলায়, অন্যজনের বাড়ি সাইনবোর্ড এলাকায়।

রাজশাহী: বজ্রপাতে মারা গেছেন মোহনপুর উপজেলার আতা নারায়ণপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (২৮), হাত্ততৈড় আবদুল আজিজ (৫০) ও ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সৈত চন্দ্র (৩০)। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির বলেন, বজ্রপাতে আরও চারজন আহত হয়েছেন। এদিকে গোদাগাড়ী উপজেলার গুসিরা গ্রামে বজ্রপাতে গৃহবধূ লাইলী বেগম (৪০) ও দুর্গাপুর উপজেলার পালসাখামারুপাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম (৪০) মারা গেছেন। বাগমারা উপজেলার ধামিনপুর গ্রামে বজ্রপাতে রহিমা বেগম নামের আরেক নারী আহত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ: বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জে বজৃপাতে শিশুসহ তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন উপজেলার বৈকণ্ঠপুর গ্রামের আবদুল মোতালেব (২২), চকপুর গ্রামের নুর নবীর মেয়ে নূপুর খাতুন (৮) ও বড় পাংগাশি গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪৬)। এদিকে উল্লাপাড়া উপজেলায় বজ্রপাতে বেতুয়া গ্রামের খোকন (৫০) ও বাঙালা গ্রামের আবদুল লতিফ (৩৫) মারা যান।

পাবনা: বৃহস্পতিবার সুজানগর ও চাটমোহর উপজেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চারজন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সুজানগরের রানীনগর গ্রামের মইন উদ্দিন (৭০), তাঁর নাতনি শিখা খতুন (১২), একই উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের শহিদ হোসেন (৫০), চাটমোহরের মল্লিক বাইন গ্রামের ফজলুর রহমান (৪০) ও ছকির উদ্দিন (৭০)।টাঙ্গাইল: জেলার দেলদুয়ারে বজ্রপাতে এক শ্রমিক নিহত হন। তাঁর নাম মতিয়ার রহমান (২৭)। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিণপাড়ায় একজনের বাড়িতে কিছুদিন আগে ধান কাটার কাজ নেন তিন শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির একপর্যায়ে বজ্রপাত হলে মতিয়ার নিহত হন। অন্য দুই শ্রমিক আহত হন।

কিশোরগঞ্জ: বৃহস্পতিবার জেলার হোসেনপুরে বজ্রপাতে শরিফুল ইসলাম ওরফে শুভ (১৮) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার আড়াইবাড়িয়া গ্রামের রহমত আলীর ছেলে ও হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।এদিকে বাজিতপুর উপজেলার বাহেরনগর গ্রামে বজ্রপাতে স্বপন মিয়া (২০) ও কৈকুড়ি গ্রামে রিজিয়া বেগম মারা যান। এ ছাড়া তাড়াইলের ইশ্ববস্বর গ্রামের মমতা বেগম (৪০) মারা যান।নরসিংদী: জেলার রায়পুরার ফকিরের চর গ্রামে বজ্রপাতে জোসনা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। জোসনা গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের স্ত্রী। এ সময় এলাকার তায়েব আলী (১৭) ও মেহের বেগম (৪০) নামের দুজন আহত হন। আহত তায়েব ও মেহেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।গাজীপুর: জেলার কাপাসিয়ায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়। তাঁরা হলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সাতান্না গ্রামের মো. সাত্তার আলী (২৬) ও কাপাসিয়ার খিরাটি গ্রামের কাজল মিয়ার স্ত্রী রুবিনা (৪০)।

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): বৃহস্পতিবার জেলার বাঞ্ছারামপুরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় কৃষকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের কৃষক সফিকুল ইসলাম (২৮), ইছাপুর গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম (৪০) ও কানাইনগর গ্রামের কবির হোসেন (২৫)।

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা): জেলার কেন্দুয়ায় বজ্রপাতে রইছ উদ্দিন (৫০) নামের এক কৃষক মারা যান। স্থানীয় আশুজিয়া ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ভগবতী গ্রামের বাসিন্দা রইছ উদ্দিন বিকেলে বাড়ির পাশে হাওরের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।পিরোজপুর: জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়হারজী গ্রামে বজ্রপাতে মো. ইউনুস সিকদার (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। দগ্ধ হন তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী আয়শা বেগম (৪০)।

নাটোর: জেলার লালপুর উপজেলায় বজ্রপাতে এক নারীসহ দুজন মারা যান। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আম কুড়াতে গিয়ে রঘুনাথপুর গ্রামের মোবারক হোসেন (২৪) ও উত্তর লালপুর গ্রামের সাহারা বানু মারা যান। কাজিপাড়া গ্রামের সাজেদুর রহমান ও মহরকয়া গ্রামের পাপিয়া খাতুন আহত হন।

নীলফামারী: জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলেরহাট গ্রামে বজ্রপাতে লালবিবি (৪০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের কৃষক আলম হোসেনের স্ত্রী। শেরপুর (বগুড়া): বৃহস্পতিবার বগুড়ার শেরপুরে বজ্রপাতে দুজন মারা যান। তাঁরা হলেন উপজেলার বেতগাড়ী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন (৪০) ও বেটখৈর গ্রামের আবদুস সোবাহানের স্ত্রী ছখিনা খাতুন (৫৫)। এ ছাড়া আহত তিনজনকে জেলার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।ফেনী :বজ্রপাতের কারণে ফেনীতে বিদ্যুতের মূল পাওয়ার ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে পুরো জেলায় ৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের কিছু অংশ ছাড়া পুরো জেলায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিতরণ অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৭টায় বজ্রপাতের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। দুপুর দুইটার দিকে বিকল্প ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ লাইন আংশিক সচল হয়। মেরামতের জন্য ঢাকা থেকে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের কিছু অংশ ছাড়া পুরো জেলায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছে হাসপাতালের রোগীরা। হাসপাতালগুলোতে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় ডেলিভারি রোগীরা কষ্টের শিকার হচ্ছে। এছাড়া বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বিদ্যুত বিচ্ছিন্নের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাওয়ার ট্রান্সফরমার মেরামতের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি অছিরেই সমস্যার সমাধান হবে।