Real Madrid have celebrated their historic Champions League

মিলানের সান সিরোর পর স্পেনে ফিরে শিরোপা উল্লাসে মেতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদের রাস্তায় খোলা বাসে চড়ে হাজারো উল্লসিত সমর্থকদের অভিবাদনে সিক্ত হন রোনালদো- বেল- বেনজেমারা।নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড ১১তম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি নিশ্চিত করে জিনেদিন জিদানের রিয়াল। নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ সমতা শেষে পেনাল্টি শুটআউটে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটির নিষ্পত্তি ঘটে।

প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটের মাথায় অধিনায়ক সার্জিও রামোসের গোলে লিড নেয় রিয়াল। নির্ধারিত সময়ের ১১ মিনিট আগে অ্যাতলেতিকোকে সমতায় ফেরান উদীয়মান মিডফিল্ডার ইয়ান্নিক কারাস্কো।অতিরিক্ত সময় শেষেও ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ার পেনাল্টি শুটআউটে। অ্যাতলেতিকো ডিফেন্ডার জুয়ানফ্রানের শট পোস্টে লাগলে উৎসবের উপলক্ষ পায় রিয়াল। পঞ্চম শটটি জালে জড়িয়েই বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোববার সকালে ইতালি থেকে মাদ্রিদে ফিরেই খোলা বাসের উপর থেকে ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে ট্রফি হাতে উল্লাস করে টিম রিয়াল। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে সবাই তাদের হিরোদের স্বাগত জানান।খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর গৌরব অর্জন করেন জিদান। শিষ্যদের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তিও ভিক্টোরি প্যারেডে খোলা বাসের উপর উৎসবে যোগ দেন।

তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিজেদের করে নেয় রিয়াল। ২০১৩-১৪ আসরেও লস ব্লাঙ্কসদের প্রতিপক্ষ ছিল অ্যাতলেতিকো। উচ্ছ্বসিত সমর্থকরা তাই বৃষ্টির মাঝেও ভোর থেকে অপেক্ষমান ছিলেন।।রিয়াল সাধারণত তাদের সেরা সাফল্যগুলো উদযাপন করে মাদ্রিদের দর্শনীয় প্লাজা সিবেলেসের সিটি হলের সামনে। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না।এ নিয়ে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে ১১তম ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছে রিয়াল। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত টানা পাঁচবার শিরোপা ঘরে তোলে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এরপর ১৯৬৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২ ও ২০১৪ আসরের ফাইনালে বহুল প্রতীক্ষিত লা ডেসিমা (দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ) নিশ্চিত করে গ্যালাকটিকোরা।