05-06-16-SP Wife Murder In Ctg-15

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু আক্তার খুনের দুই দিন পার হয়ে গেলেও হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও অন্ধকারে আছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডটি কোন জঙ্গি সংগঠন বা জামায়াত-শিবির করেছে নাকি অন্য কোন সংক্ষুব্ধ পক্ষ পেশাদার খুনি ভাড়া করে ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। এদিকে, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতু আক্তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনুসন্ধানে চট্টগ্রামে এসেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিইউ) একটি প্রতিনিধি দল।মঙ্গলবার সকালে দলটি চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়। তিন সদস্যবিশিষ্ট এ প্রতিনিধি দলে প্রধান হিসেবে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপ কমিশনার সাইফুল ইসলাম। সদস্য হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল মান্নান ও আরও একজন সহকারী কমিশনার।ভারপ্রাপ্ত উপ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, সিটিইউ’র ইনচার্জ ডিআইজি মনিরুল ইসলামের নির্দেশে আমাদের তিন সদস্যের একটি দল মিতু হত্যাকাণ্ডের তথ্য অনুসন্ধানে এসেছি।যেহেতু এ হত্যকাণ্ডে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার আলামত পাওয়া গেছে, জঙ্গি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমাদের কাছে আছে। হত্যকাণ্ডের প্রাপ্ত আলামতের সঙ্গে আমাদের তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখা হবে। দুই ধরনের তথ্যের মধ্যে আদান-প্রদান ও সমন্বয় করে কাজ করা হবে।

এর আগে সকালে চট্টগ্রামে এসে সিএমপি কার্যালেয়ে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে করেন সিটিইউর তিন কর্মকর্তা। বৈঠকে হত্যকাণ্ডের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। রোববার সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ের দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু। প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রী খুন হওয়ার ঘটনা নাড়া দিয়েছে সবাইকে। কখনও মোবাইলের এসএমএস, কখনও কালো রংয়ের মাইক্রোবাস, কখনও বাবুল আক্তারের স্ত্রীর আগেভাগে বাসা থেকে বের হওয়া আবার কখনও স্বর্ণ চোরাচালানকারী মাফিয়াদের নিয়ে ধারণার উপর ভিত্তি করে অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার সোমবার জানিয়েছিলেন একদিন পর অর্থাৎ মঙ্গলবার হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে দৃশ্যমান অগ্রগতির কথা জানাতে পারবেন।মঙ্গলবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মূল জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি, এটাই বাস্তবতা। তবে তথ্যগত এবং বস্তুগত কিছু অগ্রগতি আছে। আমরা আরও পর্যবেক্ষণ, বিচার-বিশ্লেষণ করে একটা জায়গায় পৌঁছাতে চাই। শুরুতে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিলেও সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে উদ্ধার হওয়া মোটর সাইকেলের মালিক দেলোয়ারকে মঙ্গলবার (০৭ জুন) সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর সিএমপির কাছে হস্তান্তর করেছে।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ বলেন, দেলোয়ারের বাড়ি বোয়ালখালীর কধুরখীল উপজেলায়। থাকে নগরীর জামালখানে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে ছয় বছর আগে সে মোটর সাইকেলটি বিক্রি করে দিয়েছে। এরপর কয়েক হাত ঘুরে এখন মোটর সাইকেলটি কার কাছে আছে সে জানেনা।সিসি ক্যামেরার ফুটেজে খুনিদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের পেছনে কালো রংয়ের যে মাইক্রোবাস দেখা গেছে সেটা খুনিদের সহযোগিতা করার জন্য এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মাইক্রোবাসটির গতিবিধি দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি যে এটা খুনিদের ব্যাকআপফোর্স হিসেবে কাজ করছিল। খুনিরা যদি আক্রান্ত হত তবে মাইক্রোবাসের সহযোগিতা নিত। আমরা মাইক্রোবাসটি জব্দ করার চেষ্টা করছি।হত্যাকাণ্ডের পরপর পুলিশ এর সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহ পোষণ করেছিল। হত্যার দিন গভীর রাতে নগরীর শুলকবহর বড় গ্যারেজ এলাকা থেকে মোটর সাইকেলটি উদ্ধারের পর জামায়াত-শিবিরের দিকেও আঙ্গুল তুলেছিল। এরপর পুলিশের সন্দেহের তালিকায় এসেছে স্বর্ণ চোরাচালানি মাফিয়ারাও।

চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি রাতে নগরীর কোতয়ালি থানার রিয়াজউদ্দিন বাজারে বাহার মার্কেটের ছয়তলার দুটি কক্ষ থেকে তিনটি লোহার সিন্দুক জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে একটি সিন্দুকে আড়াই’শ স্বর্ণের বার এবং আরেকটিতে নগর ৬০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। ওই স্বর্ণ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে একটি চোরাচালানি মাফিয়া সিন্ডিকেটের তথ্য পান বাবুল আক্তার। ওই সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেফতারে কার্যক্রমও শুরু করেছিলেন বাবুল আক্তার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর পুলিশের উপ কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, মিতু আক্তার খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন জঙ্গিগোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। আবার সাধারণত জঙ্গিরা নিরীহ নারী-শিশুদের উপর আঘাত করে না। চোরাচালানি মাফিয়াদের হাত অনেক লম্বা। তারা বাবুল আক্তারের উপর সংক্ষুব্ধ ছিল। তারাই ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখতে হবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমত জঙ্গি সম্পৃক্ততার একটা বিষয় আমরা বলেছি। তারপর জামায়াত-শিবির আছে। এর বাইরে আরও যে যে অপশন আছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে এই গৃহবধূর উপর হামলা হয়েছে সেটাই আগে আমরা বের করার চেষ্টা করছি। সেটা বের করতে পারলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে।

কারা এসএমএস পাঠাল, অপারেটর কোম্পানি থেকে কি এসএমএস এসেছিল, বাবুল আক্তারের স্ত্রীর মোবাইল ফোনটা পাওয়া যাচ্ছেনা কেন, তিনি কেন ছেলে নিয়ে আগেভাবে বের হলেন সব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। আরও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। আশা করি খুনিদের স্পষ্ট ছবিও পেয়ে যাব’ বলেন সিএমপি কমিশনার।

দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু শনিবার রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় (এসএমএস) জানতে পারেন রোববার ৭টা ২০ মিনিটে স্কুলে পৌঁছাতে হবে। ঠিক একই ম্যাসেজ এসেছে ‘ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম ভবনে’ অবস্থান করা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সকল অভিভাবকদের কাছে। কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ সেদিনই বাংলামেইলকে জানিয়েছিল এমন কোনও এসএমএস তারা পাঠাননি। তাই প্রশ্ন উঠছে, কোথা থেকে এসেছিল সেই এসএমএস?

এদিকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার দৃশ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে। দুর্বৃত্তরা যখন মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করছিল, তখন জিইসি মোড়ের দিকে কিছুটা অদূরে দাঁড়িয়ে ছিল একটি কালো মাইক্রোবাস। মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যাওয়ার ১০ সেকেন্ডের মাথায় ঘটনাস্থলে আসে মাইক্রোবাসটি। পাঁচ সেকেন্ডের মত ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে চলা শুরু করে মাইক্রোবাসটি। পরে গোলপাহাড় মোড়ের দিকে চলে যায়। কালো কাঁচের এ মাইক্রোবাসটির চালকের আসনের পাশের জানালাটা খোলা ছিল। অন্যসব জানালা বন্ধ দেখা গেছে।

পালিয়ে যাচ্ছে ঘাতক, ব্যাকআপ হিসেবে পেছনে মাইক্রোবাসক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের স্কুল শাখার উপাধ্যক্ষ সৌমিত কুমার দাশ বাংলামেইলকে বলেন, প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে স্কুল শুরু হয়। আগেভাগে স্কুল শুরু হবে এমন নির্দেশনা দিয়ে স্কুল থেকে কোনও এসএমএস পাঠানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ অনুসরণ করে।প্রথমত, অ্যাডমিন প্যানেল এসএমএসটা তৈরি করে। তারপর সেটা তার দেখার পর আইটি সেক্টরে দেওয়া হয়। তাই কর্তৃপক্ষের অগোচরে অভিভাবকদের কাছে এসএমএস যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তবে পুলিশ সুপারের স্ত্রী নিহত হওয়ার দিন বাবুল আক্তারের বাসায় নিয়মিত যাতায়ত থাকা সিএমপির একটি থানার সেকেন্ড অফিসারের এক স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মাহির আক্তার নগরীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ওই স্কুলে আমার ছেলেও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আগে স্কুল শুরুর সময় সকাল ৮টা হলেও শনিবার রাতে ভাবি আমাকে ফোন করে জানান তাকে স্কুল থেকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। রোববারে স্কুলে অ্যাসেম্বলি হবে। তাই মাহিরকে সাতটা ২০ মিনিটে স্কুলে পৌঁছাতে হবে। স্কুলের গাড়িও একটু এগিয়ে সকাল ৬টা ৫০ এর দিকে জিইসি’র মেরিডিয়ান রেস্টুরেন্টের সামনে আসবে। তাই ভাবি ছেলেকে গাড়ি তুলে দিতে সাড়ে ৬টার দিকে বাসা থেকে বের হন।’
মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা

এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল পড়ুয়া কয়েক শিক্ষার্থী ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে। মাহমুদা খানম মিতুর মৃত্যুর দিন বাবুল আক্তারের বাসায় আসা এরকম এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকও তার কাছে স্কুলের সময় পরিবর্তনের এসএমএস আসার কথা জানান। স্কুলের সময় পরিবর্তনের ওই এসএমএসটি শুধু ‘ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম ভবনে অবস্থান করা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে এসেছিল। এছাড়া মাহমুদা খানমের কাছে শনিবার রাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের বরাতে এসএমএস যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, মাহমুদার কাছে এসএমএস যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এসএমএসটা কারা পাঠিয়েছিল সেটা তদন্ত করা হবে। প্রযুক্তিগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টির জন্য এসএমএস ওই ভবনের বাসিন্দাদের কাছেই শুধু পাঠানো হয়েছিল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘড়ির কাঁটায় তখন ৬টা ৩২ মিনিট। এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু তার সন্তান মাহিরের হাত ধরে গলির মুখে এসে পৌঁছান। ঠিক এর ১৫ সেকেন্ড পর বিপরীত প্রান্তে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা এক যুবক মোবাইলে কথা বলতে বলতে তাকে অনুসরণ করে পেছন পেছন হাঁটতে থাকেন।

৬টা ৩২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে তিনি ওয়েল ফুডের সামনে পৌঁছানোর সাথে ১ সেকেন্ডের ব্যবধানে পেছন থেকে দৌঁড়ে মিতুর দিকে এগিয়ে যায় ঘাতক। ঠিক একই সময়ে মোটরসাইকেল নিয়ে আগে থেকেই নিরিবিলি হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই যুবক মিতুর উপর হামলা করে। হামলা শুরু এবং শেষ করে মোটরসাইকেলে উঠতে ঘাতকরা সময় নিয়েছে মাত্র ১৭ সেকেন্ড! এর মধ্যে মাহমুদা খানম মিতুর শরীরে করা হয়েছে ৮টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও দুটি গুলি।পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর হত্যাকারীদের ধরতে দু’টি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কাজ চালাচ্ছে কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিট।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানান সিটি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকারীদের ধরতে দু’টি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এর একটি হলো ভিকটিমের তথ্য, অন্যটি খুনের ধরন।তবে এখানে বাবুল আক্তার নিজেই ভিকটিম। কারণ তার কাজের জন্যই খুন করা হয়েছে স্ত্রীকে। এ জন্য বাবুল আক্তারের সার্বিক তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি এখান থেকে খুনিদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে’ বলেন মনিরুল ইসলাম।তিনি আরো বলেন,‘খুনিদের ধরতে খুনের ধরনও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ গতবছরের অক্টোবর মাস থেকে যে সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো প্রায় সবগুলোই গলাকেটে অথবা ছুরিকাঘাত করে। এরমধ্যে শুধু জুলহাস তনয় ও তার বন্ধুকে হত্যার সময় গুলি করা হয়েছিল। আবার মিতুকেও ছুরিকাঘাত করার পরে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।তাই এই দু’টি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারলে খুব শিগগিরই হত্যাকারীদের ধরা সম্ভব হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন সিটির প্রধান মনিরুল ইসলাম।

বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যার ঘটনায় পুলিশের ওপর মনস্তাত্ত্বিক কোনো প্রভাব পড়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, এটা পুলিশের ওপর কোনোভাবেই মনস্তাত্বিক প্রভাব ফেলবে না। কারণ পুলিশ আর সাংবাদিকরা যোগদানের আগে থেকেই জানেন যে এটা ঝুকিপূর্ণ পেশা। তাই এ ধরনের ঘটনায় কোনভাবেই তাদের ওপর মনস্তাত্বিক প্রভাব ফেলবে না।