USA-v-Argentina-2016-Copa

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থকদের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। কোপার শতবর্ষী আসরটি নিজ দেশে হওয়ায় এক মেসিকে দেখতেই স্টেডিয়ামে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তার ভক্তরা। এমনকি যে ম্যাচে বার্সেলোনা তারকা সাইড বেঞ্চে বসেছিলেন, সে ম্যাচেও পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে ছিল ‘মেসি’ ধ্বনি। তবে এবার খোদ সকারুদের (যুক্তরাষ্ট্রের) বিপক্ষেই মাঠে নামছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেমিফাইনালের কঠিন লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ ম্যাচে নিশ্চিত ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে মেসি-আগুয়েরো-হিগুইনরা। টেক্সাসের রেলিয়েন্ট স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে দু’দল। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের আসরের শুরু থেকে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলছে আর্জেন্টিনা। গ্র“পপর্বে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চিলির বিপক্ষে জয়ের পর পানামা ও বলিভিয়াকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করেছে জেরার্ডো মার্টিনোর শিষ্যরা। আর কোয়ার্টার ফাইনালেও সেরাটা দিয়েই শেষ চারে জায়গা করে নেয় নীল-সাদা জার্সিধারীরা। কোয়ার্টারে ভেনেজুয়েলাকে ৪-১ গোলে হারায় আর্জেন্টাইনরা।

এদিকে, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র আসর শুরু করে কলম্বিয়ার বিপক্ষে হার দিয়ে। তবে পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়ার ইয়র্গেন ক্লিন্সম্যানের শিষ্যরা। কোস্টারিকাকে উড়িয়ে দিয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষেও জয় তুলে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে। আর শেষ আটে শক্তিশালী ইকুয়েডরকে হারিয়ে জায়গা পায় সেমিফাইনালে। সেমির আগে আলবেসেলিস্তাদের ফেভারিট মানলেও ছেড়ে কথা বলতে চাইছেন না সকারু কোচ ক্লিন্সম্যান। তিনি ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপকে মনে করিয়ে বলেন, সেবার জার্মানদের সঙ্গে আমরা শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিলাম। আমরা পেছনে ফেলেছিলাম পর্তুগাল ও ঘানার মতো শক্তিশালী দলকে। সেবার আমাদের পারফরমেন্সে সবাই বিস্মিত হয়েছিল। এবারও আমরা ব্যতিক্রম কিছু ঘটাতে চাই।এদিকে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। আর ৩১ নম্বরে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু বিপক্ষ দলকে খাটো করে দেখছে না ১৪ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। তাই নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করবে দলটি।আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ছয়বার জয় এসেছে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। আর দু’বার জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়।