লঞ্চের অগ্রিম টিকিট ২৬ জুন থেকে

পবিত্র ইদ-উল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ২৬ জুন রোববার। এছাড়া ঈদযাত্রায় স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চলবে ৩০ জুন থেকে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র সদরঘাটের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন জানান, ৩০ থেকে ৩৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে কেবিনসহ সব ধরনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ২৬ জুন থেকে শুরু হয়ে যতোদিন পর্যন্ত টিকিট থাকবে, ততোদিন পর্যন্ত বিক্রি চলবে।এদিকে, ২০ রমজানের পর রোস্টার (একদিন এক কোম্পানির লঞ্চ) বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবে লঞ্চ মালিকপক্ষ। এরপর থেকে ঈদযাত্রায় লঞ্চের অগ্রিম কেবিন বুকিং নেবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বরাবরের মতো এবারও লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকিটের কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধু কেবিনের যাত্রীদের জন্য অগ্রিম বুকিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

বুধবার এমন কথা জানায় একাধিক লঞ্চের ম্যানেজার ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)পরিবহন পরিদর্শক মো. মাহফুজ বলেন, দেশের ৪১টি নৌ-পথে ঢাকা থেকে লঞ্চ ছেড়ে যায়। এ সকল রুটে বর্তমানে প্রায় ১৮০টি লঞ্চ চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে আরও নয়টি নতুন লঞ্চ আসবে।নতুন লঞ্চগুলো ফিটনেস, টাইম ও রুট পারমিট পেলেই ঈদযাত্রায় যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।নতুন নয়টি লঞ্চের মধ্যে অত্যাধুনিক চারটি লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-পটুয়াখালী এবং ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করবে। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলবে সুন্দরবন-১০ ও পারাবত-১২, ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে চলবে এ আর খান এবং ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলবে বোগদাদিয়া-৭।

ঈদ উপলক্ষে এস এম গ্রুপ অন্য পাঁচটি লঞ্চ দেশের বিভিন্ন নৌ-রুটে চলাচলের জন্য আনবে বলে জানিয়েছেন নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন।তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার হিসাবরক্ষক মো. হান্নান খান জানান, ঈদ উপলক্ষে ১০ থেকে ১২টি নতুন লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাবে।ঢাকা-বরিশাল রুটের প্রায় প্রতিটি লঞ্চে ১৫০ থেকে ১৮০টি কেবিন রয়েছে। এছাড়া অন্য সকল রুটের লঞ্চে ৮০ থেকে ১২০টি কেবিন থাকে।

বর্তমানে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা। আর কেবিন ডাবল (এসি) ১ হাজার ৮শ’ টাকা, ডাবল কেবিন(ননএসি) ১ হাজার ৬শ’ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন (এসি) ১ হাজার টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনের (ননএসি) ভাড়া ৮শ’ ৫০ টাকা।এছাড়া ঢাকা-হুলারহাট রুটে ডেকের ভাড়া ২শ’ ৫০ টাকা। ডাবল কেবিন ১ হাজার ৮শ’ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১ হাজার টাকা। তবে ঈদ উপলক্ষে বর্তমান ভাড়াতেই টিকেট পাবেন যাত্রীরা- এমন কথা জানান বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক মো. মাহফুজ।