আওয়ামী লীগ-কার্যালয়-ভাঙ্গা শুরু

আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বর্তমান স্থাপনা ভাঙ্গা শুরু হয়েছে।রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এই স্থাপনা ভাঙ্গার কাজের উদ্বোধন করেন।সেপ্টম্বর মাসের শেষের দিকে শুরু হবে আওয়ামী লীগের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ। দেড় বছরের মধ্যে সেখানে ১০ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ৬ দশমিক ৯ কাঠার উপর আমাদের নতুন ভবনটি নির্মাণ করা হবে। এটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন ১০ তলা বিশিষ্ট হবে। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য পৃথক ফ্লোরের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও এ ভবনে একটি কনফারেন্স রুম করা হবে যার ধারণ ক্ষমতা হবে সাতশত থেকে এক হাজার।তিনি বলেন, প্রায় ১০ কোটি ব্যয়ে এ ভবনটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এই কেন্দ্রীয় কার্যালয় হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। পুরো ভবনই ওয়াইফাইয়ের আওতায় থাকবে। ভবনে থাকবে কনফারেন্স হল, সেমিনার রুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ভিআইপি লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, সাংবাদিক লাউঞ্জ ও ডরমিটরি।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বানের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক সন্ত্রাসী বাঁচানোর জন্য এক ধরণের কৌশল মাত্র। আন্দোলনের টানা ৯০ দিন মানুষ পুড়িয়ে যে অপকর্ম করেছে সেটা ঢাকার জন্যই তারা এখন এ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছে। আর সেই সময় বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে তার কোন প্রয়োজন নেই। আর তাই বিএনপির উচিত সরকারকে নৈতিকভাবে সহযোগিতা করা।আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয় প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অত্যাধুনিক করার প্রক্রিয়া আজ শুরু হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত অত্যাধুনিক এই ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হবে ততদিন যাতে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো একই ভবন থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা একটি ভবন খুঁজছি। আশাকরি খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে। স্থাপত্য অধিদফতরের নকশায় নির্মাণ করা হচ্ছে ভবনটি। এ ভবনে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমও পরিচালিত হবে।এ সময়ে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা ডা. দিলীপ কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।