Meyor Solkupa-jhenaidahঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের বিরুদ্ধে গোপন টেন্ডার ও সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগী ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম দ্বিতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতিতে আরো বেপরো হয়ে উঠেছেন। তিনি সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গোপন টেন্ডার করে কাজ ভাগাভাগী করে নিচ্ছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের গুরুত্বপূর্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে ৬টি রাস্তা নির্মানের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। কিšু‘ মেয়র আশরাফুল আজম, পৌরসভার সচিব নুর মাহমুদ, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল রহমান, দুই কার্য্য সহকারী মন্টু, হাফিজ ও মেয়রের আস্থা ভাজন ঠিকাদার রাসু কাজীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভাগ করে নিয়েছেন।

টেন্ডার গোপন করার কারণে সিডিউল বিক্রি বাবদ সরকারের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা গাচ্ছা দিতে হয়েছে। প্রকাশ্য টেন্ডার করলে ঠিকাদারগন কমপক্ষে পনের শতাংশ নি¤œদরে দাখিল করতো। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত দেড় কোটি টাকার টেন্ডার গোপন করার পক্রিয়া করা হচ্ছে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। মেয়র টেন্ডার গোপন করেই ক্ষ্যান্ত থাকেনি। তিনি বিভিন্ন ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে চলছেন।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে জানান, বিধি মোতাবেক টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ কারী ঠিকাদারগনকে অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ সব মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে বলে আমি মনে করি।