আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ

বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্যের প্রয়োজন নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্যের প্রয়োজন নেই।বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার বিকালে রাজধানীর ২৩,বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহে আলম মুরাদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন-গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেক খান, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা-এস.এম. কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাবেক নেতা- হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন-শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হবার পেছনে যে মানুষটির অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল, তিনি আমাদের বঙ্গমাতা বেগম ফতিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা সম্পর্কে বিস্তর স্মৃতিচারণ করেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন,বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

তিনি বলেন, ৭১ ও ৭৫ এর খুনিরা এবং আজকের জঙ্গীরা এক ও অভিন্ন। আজকের জঙ্গীদের যে বিভিন্ন বড় ভাইদের কথা শুনি তারা আরকেউ নন, এরা জামাত-শিবির। এরা দেশে ধারাবাহিকভাবে নাশকতা ও গুপ্তহত্যা চালিয়ে সরকার পতনে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা চালায়। হলি আর্টিজানে হামলার দুইদিন পর বেগম খালেদা জিয়া এটিকে রক্তাক্ত অভ্যূত্থান অভিহিত করে মূলতঃ ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা ও সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। তিনি আরো বলেন- শেখ হাসিনার আহ্বানে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। ১লা আগস্ট সারা দেশে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় সকল মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জঙ্গীবাদের শিকড় উপড়ে ফেলবো।সভাপতির বক্তব্যে- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহে আলম মুরাদ বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদমুক্ত করবো এটাই হবে আজকের দিনের শপথ।