শিল্পপতি রাগীব আলী।গত বুধবার দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু সরকারি কাগজ জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগানের বাগান দখলে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলী ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্তরা হলেন রাগীব আলী, ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ।

এরপর গতকাল বিকেল ৫টার দিকে ছেলে আবদুল হাই, আবদুল হাইয়ের স্ত্রী ও ছেলে এবং বাংলোর দুই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে রাগীব আলী জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে চলে যান বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা। তিনি বলেন, ‘তারা বৈধভাবেই ভারতে গেছেন।’

৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার ওপর অবস্থিত তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আশির দশকে সরকারি কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এ নিয়ে চলা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুর চা বাগানে রাগীব আলীর মালিকানা অবৈধ ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা সরকারি কাগজ জালিয়াতির দুটি মামলা পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেন আদালত।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ জুলাই আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান। এ মামলার অভিযোগ গ্রহণের শুনানি শেষে গত বুধবার আদালত রাগীব আলীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।