বাংলাদেশের জন্য কুয়েতের শ্রমবাজার ফের বন্ধ

শর্ত সাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এক মাসের মাথায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ আবারও স্থগিত করলো কুয়েত। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ফর সিটিজেনশিপ অ্যান্ড পাসপোর্ট মেজর জেনারেল শেখ মাজেন জারা আল সাবাহ বরাত দিয়ে সোমবার স্থানীয় সংবাদ সংস্থা আল-আনবা এ প্রতিবেদন করেছে।গত সপ্তাহের তথ্য মতে এ পর্যন্ত ২ লাখ বাংলাদেশি কুয়েতে অবস্থান করছে।মধ্যপ্রাচ্েযর তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েত বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে খবর এসেছে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে।

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড পাসপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি অ্যাসিসটেন্ট শেখ মাজেন আল-জারা আল-সাবাহ সোমবার এই ঘোষণা দেন বলে বুধবার কুয়েত টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ ব্যাখ্যা করে শেখ মাজেন বলেন, তার দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশির সংখ্যা গত সপ্তাহেই দ্ইু লাখ ছাড়িয়ে গেছে।চাকরিদাতার নিজের বাড়ি থাকার বাধ্যবাধকতাসহ বেশ কিছু শর্তে কয়েক মাস আগে কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হয়।

নতুন করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই তুলে নেওয়া হবে কি না, অথবা নতুন কোনো শর্ত দেওয়া হবে কি না- শেখ মাজেন সেসব বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি বলে কুয়েত টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।জনশক্তি রপ্তানি প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রথমবারের মতো কুয়েত যাওয়ার সুযোগ পান। ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোট চার লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক চাকরি নিয়ে সেখানে যান।এরপর বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কিছু ‘অনিয়মের’ অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে অনেকটা কৌশলেই শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় কুয়েত।সরকারি পর্যায়ে দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর ২০১৪ সালে কুয়েত আবারও বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে রাজি হয়। ওই বছরই সে দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫৯৩ জন শ্রমিকের চাহিদা পাঠায়।