09-09-16-jam_gazipur-chandra-12পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে গ্রামের পথে ছুটছেন নগরবাসী। আগামী মঙ্গলবার দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তাই ছুটির প্রথম দিনে শুক্রবার ভোর থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি নৌপথে। বাস টার্মিনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা, কিন্তু বাস নেই। মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। আর এ সুযোগে পরিবহনগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ায়, দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে থেকে সময় মতো বাস ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে টার্মিনালে এসে তারা বাস পাননি। পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলা হচ্ছে, পথে যানজটের কারণে বাস সময় মতো পৌঁছতে পারছে না।তবে, কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে সকালে সময় মতো যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। সদরঘাট থেকেও যাত্রীবাহী লঞ্চ নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মহাখালী: ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া পরিবহনগুলো। এক্ষেত্রে ঢাকার দু’-একটা পরিবহনের যাত্রী বাদে পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও জামালপুরসহ বেশকয়েকটি জেলার ঘরমুখো মানুষকে গুনতে হচ্ছে (৫০-২৫০ টাকা) দ্বিগুণের বেশি ভাড়া। শুক্রবার মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।সময় যখন সকাল ৯টা ২০ মিনিট, ঠিক তখনই বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক কক্ষে এসে টাঙ্গাইলগামী নিরালা বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মো. নূরুল আমীন (৩২)। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের নির্ধারিত ভাড়া ১৫০ টাকা। কিন্তু পরিবহনটি আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে টিকিটের দাম রেখেছে। একই অভিযোগ করেন নিরালা পরিহনের যাত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুল হাসান রনি। তিনি বলেন, অনেক দামা-দামি করে ১৫০ টাকার টিকিট ৪০০ টাকায় পেয়েছি। তাও আবার সবার পেছনের সিট। তিনি বলেন, সকাল ৬টা থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু বাস নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছি। টাঙ্গাইলগামী শুধু নিরালা পরিবহন নয়, ধলেশ্বরী, ঝটিকা, বিনিময়, মহানগর তারকান্দি পরিবহনগুলোতেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কারণ জানতে গিয়ে নিরালা পরিবহন, মহানগর, ঝটিকা এবং ধলেশ্বরী পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে তালাবন্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।তবে পরিবহনগুলোর একাধিক হেলপার জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা আসার পথে দীর্ঘ জানজটের কারণে কোনো বাস ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে চাহিদা থাকার পরও জ্যামের কারণে রাস্তায় আটকে থাকা গাড়িগুলোর খরচ তুলতে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন তারা।সিরাজগঞ্জগামী অভি এন্টারপ্রাইজে ২৫০ টাকার টিকিট ৫০০ টাকায় বিক্রির কারণ চাইলে কাউন্টার মাস্টার উজ্জল বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তায় জ্যাম থাকায় গাড়ি ঢাকায় আসতে পারছে না। এই জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কই কথা বলেন এসআই এন্টারপ্রাইজ ও স্টারলিংক ক্লাসিক পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার।

জামালপুরের মাদারগঞ্জগামী রাজিব এন্টারপ্রাইজ থেকে ২৭০ টাকার টিকিট মিলছে ৫০০ টাকায়। একই দৃশ্য দেখা গেছে শেরপুরগামী সাদিকা পরিবহনেও। এই দুই পরিবহনের কর্মকর্তারা বলছেন, আসার সময় সিট খালি থাকায় খরচ সমন্বয় করতে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।একতা ট্রান্সপোর্ট পরিবহনে ঢাকা থেকে নাটোর, রাজশাহী হয়ে চাপাইনবাবগঞ্জের যাত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ অভিযোগ করেন, ০৪ সেপ্টেম্বর ৫৫০ টাকার টিকেট ৭৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। এদিকে, কিশোরগঞ্জগামী জলসিড়ি, অনন্যা, অনন্যা ক্লাসিক, উজান ভাটি, রাজা, বাদশা, বন্যা পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নিচ্ছেন কাউন্টার মাস্টাররা। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আলিফ, নরসিংদীর পিসিএল সুপার এবং ময়মনসিংহ ও শেরপুরগামী আলম এশিয়া, ঈগল, সৌখিন, শ্যামলী বাংলা, ইমাম পরিবহনেও ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে মহাখালী বাস ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান, কোনো বাস মালিক সরকার নির্ধারিত বাড়ার বেশি ভাড়ার আদায় করুক তা আমরা চাই না। কিন্তু যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে যে খরচ হচ্ছে সেটা পূরণ করতেই এই পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে। বিআরটিএ’র পরিদর্শক এম এ জলিল জানান, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের স্যার আসছেন, ঘটনাস্থলে যাবো। বাস মালিকরা যদি কথা না শোনেন তাহলে রুট পারমিট বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সায়েদাবাদ: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা, কিন্তু বাস নেই। মহাসড়কে ব্যাপক যানজটের কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। আর এ সুযোগে পরিবহনগুলো ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ায়, দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।যাত্রীদের অভিযোগ, স্বাভাবিক দিনের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া নিচ্ছে পরিবহনগুলো। পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন ঈদ ও গাড়ি সংকটের কারণে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রীর উপচে পড়া ভীড়। ভোর থেকেই বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। বাস নেই তাই কাউন্টার থেকে টিকিট ছাড়া হচ্ছে না। আবার যে সব পরিবহনে টিকিট বিক্রি হচ্ছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার দাম দ্বিগুণের বেশি নেওয়া হচ্ছে।সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লা রুটের তিশা পরিবহন ১৮০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৪০০ টাকা। কুমিল্লাগামী লোকাল বাস আল আমীন পরিবহন ১৫০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৩০০ টাকা। এই বাসের ছাদে যারা যাচ্ছেন তাদের থেকে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। কুমিল্লার মুরাদনগরগামী ইলিয়ট এক্সপ্রেস ১৮০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা নিচ্ছে। এই পরিবহনগুলোর কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহের পর যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।কুমিল্লার তিশা পরিবহনের যাত্রী মাইনুল ইসলাম খান বলেন, স্বাভাবিক সময় ১৮০ টাকা ভাড়া। এখন নিলো ৪০০ টাকা। টিকেট সংগ্রহকারী আরেক যাত্রী রফিক জানান, ১৫০ টাকায়ও এ গাড়ীতে যাওয়া যায়, এখন তা বাড়িয়ে দ্বিগুণের বেশি করা হয়েছে।

কুমিল্লা মুরাদনগরের ইলিয়ট এক্সপ্রেসের টিকেটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ানো যাত্রী শাহীন বলেন, দুই/আড়াই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, টিকেট ছাড়ছে না। তারা বলছে গাড়ি আসলে দেবে। আবার ভাড়াও নিচ্ছে বেশি। ১৬০ টাকার ভাড়া ৩২০ টাকা বলছে। চাকরিজীবী আজাদ কিশোরগঞ্জের ভৈরব যাবেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে আছি টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকজন যাত্রী বাবুল ভোর ৫টা থেকে দাঁড়িয়ে আছেন গাড়ি নেই।এদিকে পরিবহনগুলোর লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কে যানজটের কারণে পরিবহনগুলো টার্মিনালে এসে পৌঁছাতে পারছে না। নির্ধারিত সময়ের থেকে অতিরিক্ত ৭/৮ ঘণ্টা বা এরও বেশি সময় লাগছে পৌঁছাতে।তারা বলেন, কাঁচপুর ব্রিজ, মেঘনা ব্রিজ ও দাউদকান্দি ব্রিজে দুই দিক থেকেই ব্যাপক যানজটে পড়তে হচ্ছে। যার ফলে গাড়ি ফিরে আসতে পারছে না। আর এ কারণে যাত্রীর তুলনায় ব্যাপক পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।তিশা পরিবহনের চালক মোস্তফা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় কুমিল্লা থেকে রওয়ানা দিয়েছি, রাত ২টায় সায়েদাবাদ টার্মিনালে আসতে পেরেছি। মেঘনা থেকে দাউদকান্দি ব্রিজ, কাঁচপুর থেকে চিটাগাং রোড যাটজটে বসে ছিলাম, গাড়ি চলে না।ইলিয়ট পরিবহনের লাইন ম্যান আব্দুল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার(০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাড়ি গেছে এখনও ফিরে আসেনি। এই পরিবহনের টিকেট বিক্রেতা মইন জানান, ভোর থেকে তাদের ৫টা গাড়ি টার্মিনাল ছেড়ে গেছে। সেগুলো চিটাগাং রোডেই যানজটে পড়ে আছে। আর দুইটি গাড়ি গ্যারেজ থেকে যানজটে টার্মিনালে ঢুকতে পারছে না। এই গাড়ী দুটি ছেড়ে গেলে আজ (শুক্রবার) আর কোনো গাড়ী পাবো না। আগেরগুলো ফিরে আসতে পারছে না।এই সুযোগে পরিবহনের ভাড়াও ইচ্ছা মতো বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ঈদ, যাত্রীর ব্যাপক চাপ এবং গাড়ি সংকট এই সব সুযোগ নিচ্ছে পরিবহন মালিকরা। ভাড়া এতো বাড়ানো হয়েছে কেন জানতে চাওয়া হলে ইলিয়ট এক্সপ্রেসের মইন বলেন, ঈদের সময় ভাড়াতো একটু বাড়বেই। দেখছেন না টিকেট দিতে পারছি না, গাড়ি নেই।

গাবতলী স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঈদের আগে বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ। ফলে, অফিস ছুটির পরপর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদ যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলী ও মাজার রোডে অবস্থিত বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালে ঘুরমুখো যাত্রীর ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। কাউন্টারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। বসার জায়গা না থাকায় রাস্তার ধারে ও চায়ের দোকানে গিজগিজ করছে মানুষ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাবতলীতে সকাল থেকে শিডিউল বিপর্যয় ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অব্যাহত থাকে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম,যশোর, খুলনা, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাসহ প্রত্যেক রুটের গাড়ি সময় মতো ঢাকা ছাড়তে পারছে না। চরম শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে ঘরমুখো যাত্রীরা ক্লান্তি ও বিরক্ত হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। এছাড়া কাউন্টারগুলোতে পর্যাপ্ত বসার স্থান না থাকা ব্যাগ ও বস্তা নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যেন, ঈদ যাত্রার অপর নাম সীমাহীন দুর্ভোগ। এছাড়া যারা আগে টিকিট কাটেনি, এসব যাত্রীদের টিকিটের জন্য কাউন্টারে কাউন্টারে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। আর এই সুযোগে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নিজেদের ইচ্ছা মতো দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন।

রংপুরগামী মামুন নামে এক যাত্রী বলেন, ভাই টিকিট না কেটে কি যে ভুল করেছি।এখন ডাবল দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তার ওপর রাস্তায় জ্যাম কখন যে পৌঁছাবো।সকালের দিকে দক্ষিণাঞ্চল ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো সময় মতো ছাড়তে পারলেও দুপুরের পরপরেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে। যশোরগামী ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বলেন, সকালে ঠিক সময়ে গাড়ি ছাড়তে পেরেছিলাম। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিঘাটে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় ৩/৪ ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত এমন চলবে।এদিকে, উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কোনো ধরনের পরিবর্তন হয় নি। ৫/৬ ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে। মোকসেদুর রহমান নামে স্কুল শিক্ষক বলেন, উত্তরাঞ্চলের শিডিউল বিপর্যয় নতুন কিছু না। প্রতিবারে এ কষ্ট করতে হয়। আমার মনে হয়, সরকার সমস্যা দূর করতে একবারে উদাসীন।সদরঘাট: ঈদ আনন্দ উদযাপনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত সদরঘাট। আর এসব মানুষের যাত্রা স্বাচ্ছন্দ্য করতে সদরঘাট ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও।

জানা যায়, ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ১৪টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে ৩২টি সিসি ক্যামেরা, প্রতি গেটে রয়েছেন দু’জন পুলিশ, দু’জন ক্যাডেট সদস্য। সার্বিক পরিস্থিতি সামলাতে রয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ২৫০ সদস্য। এছাড়া নদীতে নৌ-পুলিশের সাতটি টহল টিম, বিআইডব্লিউটিএ’র পঞ্চাশ জন মেরিন ক্যাডেট, বিশজন কোস্ট গার্ডসহ ২৩০ জন নৌ-পুলিশ কাজ করছেন যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ফায়ার সার্ভিস ও র‌্যাবের বিশেষ টিমও সদরঘাটে দায়িত্ব পালন করছে। অপরদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকায় ২৫টি মাইকে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার আগেভাগেই পন্টুন হকারমুক্ত করা হয়েছে।শুধু তাই নয়, সদরঘাটমুখী যাত্রীদের নির্বিঘেœ চলাচলের জন্য দখলমুক্ত করা হয়েছে ফুটপাত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থার পরিবর্তন এনে করা হয়েছে একমুখী। অপরদিকে কোনো যাত্রী যেন রাস্তার উপর গাড়ি পার্কিং করতে না পারেন সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।নদীপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে র‌্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। টিমটি যেকোনো সমস্যায় দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবে।তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও লঞ্চের ভাড়া নিয়ে অধিকাংশ যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি যেখানে সাধারণ সময়ে কেবিন ভাড়া (পটুয়াখালীর) ১৪০০ টাকা (ডাবল) সেখানে এখন ২৬০০ টাকা দিলেও কেবিন দেওয়া হচ্ছে না। আর বরিশাল ও চাঁদপুর রুটের লঞ্চগুলোতে কেবিন ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। ডেকের উপরে নির্দিষ্ট স্থানে বসতেও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

অভ্যন্তরীণ যাত্রী সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরীয় টিপু বলেন, ঈদ সামনে রেখে ঘরমুখী মানুষ যেন নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারেন সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঈদের সময় এমন একটু হবেই। মালিকরা তো দু’টি ঈদেই ব্যবসা করে থাকেন। আর মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সেটিও কিন্তু নয়।সদরঘাট নৌ-নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন বলেন, যাত্রীদের সর্বাত্মক নিরাপত্তা দিতে তারা সব ব্যবস্থা নিয়েছেন। যাত্রীরা যেন সব ধরনের সহযোগিতা পান সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মাঝপথে নৌকায় করে যেন কোনো যাত্রী উঠতে না পারেন সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। ঘাট থেকে লঞ্চগুলোতে যেন অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে সেজন্য মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।

ট্রেনে ভিড় থাকলেও স্বস্তি :ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিয়ে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে মোটামুটি সময় মতোই ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। ভোরে কিছু ট্রেন ৫ থেকে ১০ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও বেলা গড়াতেই প্রায় সব ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়ছে।ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও অস্বস্তিকর চাপ নেই। কিছু যাত্রী ছাদে উঠলেও তাদের নামিয়ে ভেতরেই জায়গা করে দিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে কামরায় বেশ ভিড় তৈরি হচ্ছে।কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তীর দাবি, যাত্রীদের বাড়তি চাপ নেই। তারা সুন্দরভাবে বাড়ি ফিরতে পারছেন বলে আমরাও স্বস্তিতে আছি।তিনি বলেন, ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৭টি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। শুক্রবার সারাদিন বিভিন্ন রুটে স্পেশাল ট্রেনসহ ৬৯টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। কোনো ট্রেনেই এতোটুকু ফাঁকা জায়গা নেই। ছাদে, বাফারে বাঁদুরঝোলা হয়ে কমলাপুর থেকে রাজধানীর মানুষের গন্তব্য এখন গ্রামের বাড়ি। শুধু শুক্রবার সারাদিন এভাবে প্রায় একলাখ মানুষ কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকা ছাড়বেন বলে মনে করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

দিনের শুরুতে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়া বাকি সব ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে ছেড়ে গেছে। বেশিরভাগ ট্রেনই ঠিক সময়ে প্লাটফম ছাড়তে পারেনি। অতিরিক্ত যাত্রীচাপে স্টেশনে ভিড় লেগে আছে। দেখা গেছে, প্রতিটি কোচের ভেতরে যতটি আসন আছে তার চেয়ে কয়েকগুণ লোক দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। ছাদে ওঠা তো বন্ধ হচ্ছে না। টেনে-হিঁচড়ে একের পর এক ছাদে ওঠার দৃশ্য বরাবরের মতো দেখা যাচ্ছে। কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেনে যেমন বাড়িমুখী মানুষ ঝুঁকি নিয়েই ছাদে উঠছেন, তেমনি বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকেও ছাদে উঠছেন আরও কয়েকশ’ মানুষ। স্টেশন ঘুরে আরও দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে ছাদে উঠার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিলো ছাদভর্তি যাত্রী। কমলাপুর রেওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, ছাদে উঠা নিষেধ, যারা অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। তবে তারা লিফলেট, মাইকিং এবং নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ছাদে উঠা থেকে মানুষজনকে ছাদে উঠা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন।এ ব্যাপারে রেলস্টেশনের আরেক কর্মকর্তা বলেন, মানুষ বাড়ি যেতে চায়। তাদেরকে ছাদে উঠা থেকে বিরত রেখে কোনো লাভ হয় না। যেভাবেই হোক ট্রেনে উঠবেই। আর ট্রেন সংখ্যা ও আসন সীমিত হওয়ায় এ সমস্যা মোকাবেলার উপায় নেই।স্টেশন ম্যানেজার জানান, শুক্রবার সারাদিন প্রায় এক লাখ মানুষ কমলাপুর দিয়ে যাতায়াত করবেন। রাত পর্যন্ত ৩টি স্পেশাল ট্রেনসহ ৬৯টি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাবে। ৩টি স্পেশাল ট্রেনের মধ্যে সকালে ছেড়ে গেছে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল। বিকেলে ছাড়বে পাহারপুর স্পেশাল এবং রাতে যাচ্ছে খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেন।

অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং এলোপাতাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে টানা ৩য় দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে অন্তত ১৫ কি. মি. যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ। বিশেষ করে কাঁচপুর ব্রিজ থেকে শুরু করে মহাসড়কের সানারপাড়, মুগদাপাড়া, ভবের চর, গজারিয়া, মেঘনা ও দাউদকান্দি গোমতী সেতুর উভয় প্রান্তে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যাতায়াতের ২ ঘণ্টার সময়ের পরিবর্তে ৬/৭ ঘণ্টা সময় লাগছে বলে যাত্রী ও পরিবহন চালকরা জানিয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের নিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। যানবাহনের বাড়তি চাপে প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।শুক্রবার সকাল থেকে সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ শুরু হলে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী গাড়িগুলো থেমে-থেমে ধীরে-ধীরে গন্তব্যে দিকে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রীরা।ভবের চর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট কামরুজ্জামান রাজ জানান, সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ যানজট হচ্ছে। এ চাপ আরও দু’একদিন থাকতে পারে।যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ, জেলা ও থানা পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।এদিকে, শুক্রবার ভোর থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করে। কাঁচপুর, মেঘনা ও দাউদকান্দি গোমতী সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের চাপ বেড়ে যাওয়ায় হাইওয়ে পুলিশ চাপ সামলাতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম থেকে হচ্ছে।শুক্রবার বেলা ১টায় পর্যন্ত যানজট দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে গৌরিপুর বাজার পর্যন্ত ১৫ কি. মি. মহাসড়কে বিস্তৃতি লাভ করে। অপর দিকে মহাসড়কের কাঁচপুর, সানারপাড়, মুগদাপাড়া, ভবেরচর, গজারিয়া ও মেঘনা সেতুর উভয় পাশে কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়েছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসা রয়েল পরিবহনের যাত্রী ব্যবসায়ী জানে আলম জানান, গত রাত ১০টায় রওয়ানা করে ভোর ৪টায় তিনি কুমিল্লায় পৌছেছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, ঈদের কারণে মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহনের বাড়তি চাপ ছাড়াও কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু সংকীর্ন হওয়ায় ওই ৩টি সেতুর উভয় প্রান্তে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তবে তা স্থায়ী হচ্ছে না, ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তিনি আরও জানান, হাইওয়ে ও থানা পুলিশ মহাসড়কে যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।বর্তমানে এ মহাসড়ক আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাজের ব্যস্ততায় যারা যান্ত্রিক শহরে বাস করেন তারা ফিরে চলেন গ্রামে। এই আনন্দের সঙ্গে নিত্যসঙ্গী ঘন ঘন যাত্রা বিরতি। উত্তরবঙ্গে যাতায়াতকারীদের জন্য ঈদের আগে কয়েকদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট যেন চিরচেনা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। দিনের বিভিন্ন সময় ১৫-২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আজও কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার জটে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এলেঙ্গা থেকে চন্দ্র পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে যানজট হওয়ায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তার পরও যানজট যেন এখন ঈদ আনন্দের একটা অংশই হয়ে গেছে।

৬০ কিলোমিটার পথ পার হতে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনের সময় লাগে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা তবুও উচ্ছ্বাস সবার মধ্যে বাড়ি ফেরার। বিশেষ করে ঢাকা ছেড়ে গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইল যেতেই সময় লাগছে বেশি। এ সড়কে উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোর ছাদেও যাচ্ছেন অনেকে। তীব্র গরমে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাতে মহাসড়কের ডুবাইল নামক স্থানে ঢাকাগামী ট্রাকের উপর থেকে পরে আনারস ব্যবসায়ী শহীদ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া মহাসড়কে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশর প্রায় ৭শ সদস্য যানজট নিরসনে নিরলস ভাবে কাজ করছি। যানজট নিরসনে গোড়াই হাইওয়ে ও টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশও কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মির্জাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, বুধবার রাত থেকেই মহাসড়কে যান চলাচল দিগুণ হওয়ায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এর জন্য থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এখন ঢাকার দিকে যানজট থাকলেও টাঙ্গাইলের দিকে যান চলাচল করছে।ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচলে ধীরগতি অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন বিরতি হচ্ছে। মহাসড়কে পশুবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজট ও যান চলাচলে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।