%e0%a6%b8%e0%a7%8c%e0%a6%a6%e0%a7%80-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a7%a7%e0%a7%ab-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%96-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8এশিয়া, আফ্রিকাসহ বিশ্বের প্রায় ১৫ লাখ মুসলিম শনিবার এখানে পবিত্র হজব্রত শুরু করেছেন। তবে শিয়া অধ্যুষিত ইরান ও সুন্নী সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদী আরবের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনার কারণে হাজার হাজার ইরানি এবার হজে অংশ নিতে পারছেন না।

পবিত্র হজ পালনের জন্য মক্কায় সমবেত সারা বিশ্বের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান শুক্রবার মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) জুমার নামাজ আদায় করার পর হজযাত্রীরা পবিত্র হজের অংশ হিসেবে মিনায় রওনা হন। বাসে, গাড়িতে, ট্রেনে এমনকি হেঁটে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে হজের নিয়তে তাঁদের মুখে ছিল তালবিয়া ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান্নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’।

মিনায় রাতযাপন জীবনের এক পরম পাওয়া। আজ ৮ জিলহজ হজযাত্রীরা মিনায় অবস্থান করবেন। ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।

হাজিরা মিনায় বড় শয়তানকে পাথর মারবেন, কোরবানি দেবেন, চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা। প্রত্যেক শয়তানকে সাতটি করে পাথর মারতে হয়। তিন শয়তানকে তাকবিরসহ পাথর নিক্ষেপ করা হজের অপরিহার্য অংশ।