student-beatenju

শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় মিরপুর-১ এর গোল চত্বরে স্টুডেন্ট ভাড়া দেয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে তানজিল পরিবহনের বাস স্টাফরা। আহত তিন শিক্ষর্থী হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের অয়ন (হিসাব বিজ্ঞান), ১১তম ব্যাচের রাজন (নাট্যকলা) ও ১০ম ব্যাচের কনক হিমু (ভূগোল ও পরিবেশ)।

শনিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরছিলেন এই তিন শিক্ষার্থী। তারা শিক্ষার্থী হিসেবে সদরঘাট থেকে মিরপুরের ভাড়ার অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে তানজিল পরিবহন ঢাকা মেট্রো জ-১১১০১৭ এর স্টাফরা পুরো ভাড়া চায়। কেন স্টুডেন্ট ভাড়া রাখা হবে না, এ নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে বাস মিরপুর-১ এর গোল চত্বরে পৌঁছালে তানজিল পরিবহনের অন্য স্টাফরা মিলে তাদের উপর চড়াও হয়। এতে তিনজনই মারাত্মকভাবে আহত হন।

অয়নের হাতে ও আঙ্গুলে ফ্রাকচার হয়, রাজনের হাতে ও পায়ে আঘাত লাগে, হিমুর মাথা ফেটে যায়। হিমুর মাথায় ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। তাদের প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রত্যক্ষদর্শীরা মিরপুর সেলিনা হাসপাতালে ভর্তি করায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত দুইজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ভুক্তভোগী কনক হিমু জানান, তারা অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে তাদেরকে বাসের কর্মচারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলে। রাজন বলেন, সোমবার আমার ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ১১০১ কোর্সে তত্ত্বীয় পরিক্ষা আহতাবস্থায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছিনা ;আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানজিল বাসের পরিচালক আবুল হোসেন জানান, শনিবার বাসের ভাড়া নিয়ে স্টাফদের সাথে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে, তবে ওই তিন শিক্ষার্থী আমাদের দুটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেললে উপস্থিত লোকজন তাদেরকে পাল্টা জবাব দেয়। আমাদের কোনো স্টাফ তাদের গায়ে হাত তোলেনি। গ্লাস ভাঙ্গা গাড়ি দুটি দারুস সালাম থানায় আছে বলে জানান তিনি।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ বিষয়ে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

জবি প্রতিবেদক,